বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার ড. খান মোঃ মনিরুজ্জামান এর অমর কবিতা “নমরুদের পদস্খলন”

প্রকাশিত: ৭:০২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০

বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার ড. খান মোঃ মনিরুজ্জামান এর অমর কবিতা “নমরুদের পদস্খলন”

-ড. খান মোঃ মনিরুজ্জামান

নাটের গুরু শয়তান চলে অতি সাবধানে,
সে কি জানে তার শয়তানি সবাই জানে?
অতি সঙ্গোপনে শয়তানের শয়তানি চলে,
ছলে, বলে, কলে সে লোক বাড়ায় দলে।
যাকে দিয়ে তার স্বীয় স্বার্থ চরিতার্থ হবে,
শয়তান তাঁর স্ত্রীকে মা অথবা বোন কবে।

দরকারে খালাত ভাই অথবা সন্মন্ধী বলে,
তারাও পড়ে নিষ্ঠুর শয়তানির কোপানলে।
শয়তানের বাড়ি ঘরের অভাব যে অন্তহীন,
মিছে স্বদেশী বানায়ে তাঁরে করে ফেলে ঋণ।
স্বীয় স্বার্থ চরিতার্থে তার ফন্দির অন্ত নাই,
কেহ নাই, দেশে তার বানানো স্বজন বোঝাই

নাটের গুরু পাপিষ্ঠ শয়তান সুচতুর বটে,
শয়তানি আর বজ্জাতি ভরা তার নিজ ঘটে।
অসত্য তথ্যে সে প্রেমনগরে জ্বালে হুতাশন,
তার কুটকৌশলে গেছে কত সীতা নির্বাসন।
হায়রে বজ্জাত শয়তান, ধিক! ধিক! তোকে,
কতজন জ্বলে মরল তোর শয়তানি চোখে।

নাটের গুরু শয়তান উল্টে দিতে পারে সব,
অসত্য তথ্যে সে উল্টে দেয় হিমালয় পর্ব্বত।
সমুদ্রকে বানাতে পারে আমাজান বনভুমি,
অন্যের ঘর বানায় চর বাহাদুরের পদচুমি।
কেওক্রাডংকে উল্টে বানায় ভুমি সমতল,
মানুষের হাসিকে উল্টে বানায় কান্নার জল।

নদীর স্বাদু জলকে বলে জলধির লোনা জল,
স্বার্থে নর্দমার জলকে বলে সুপেয় পরিমল।
অকারণ কল্যাণকর শান্তিহরণ তার স্বভাব,
লুকিয়ে রাখে তার সব বক ধার্মিক হাবভাব।
হায়রে, মানবতার শত্রু শয়তান নটরাজ,
অকাজকে কাজ বানাতে নাই তোর কোন লাজ।

বিশ্বে যতসব ভালো কাজের শত্রু শয়তান,
যত অনিষ্ট, অনাচার, অধর্ম তার অবদান।
দিনে দিনে একদিনে ধরা পড়ে তার শয়তানি,
নারিনরে ঘৃণা করে তার মুখে দিয়ে চুলকানি।
শয়তানির তিরস্কারে তার নরকে অবনমন।
ভুল করে ভুলে যায় সে নমরুদের পদস্খলন।

রচনাকালঃ ২৬/০৯/২০২০ খ্রি.
সময়কালঃ ৭.০০ এএম।
নুরুন্নাহার সরকারি মহিলা কলেজে পাড়া,
ঝিনাইদহ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ