“সাংবাদিক ফয়সাল ও সোহাগ”

প্রকাশিত: ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০২১

“সাংবাদিক ফয়সাল ও সোহাগ”

ড. খান মোঃ মনিরুজ্জামান

জাতির বিবেক ঝিনেদার সাংবাদিকেরা ভালো,
আঁধারে তাঁরা জ্বালাত মানব কল্যাণের আলো।
জনস্বার্থে তাঁদের সহযোগিতার বিকল্প যে নাই,
মোর হৃদয়পটে যুগ যুগ ধরে রবে তাঁদের ঠাঁই।
আমার কাজ সম্প্রসারণে তাঁদের চেষ্টা বিলকুল,
জীবনের বাঁকে বুঝি তাঁরা আমার ভাই নির্ভুল।
কতক প্রিয় মুখ ভাসে সদা মোর মনোসরোবরে,
কত শত স্মৃতি খুঁজে ফিরে মোরে বিশ্ব চরাচরে।

সাংবাদিক ফয়সাল প্রিয় নাম, চাচা বলিত মোরে,
জনস্বার্থে প্রচার করিত মোর কাজ জোরেশোরে।
তাঁর প্রেরণায় উৎসাহ বাড়িত সম্প্রসারণ কাজে,
ডুবিয়া থাকিতাম দিনমান ভরি আপন কর্মমাঝে।
রসনা রসের মধু রসে তাঁর রসের ঢিলে টইটম্বুর,
ভিতরে ভরা ভাদরের যৌবন রসে ছিল ভরপুর।
তাঁর বচন জালে বান্ধা পড়ে মোর লাগিত ভালো,
বন্ধু জ্ঞানে গুণী ফয়সাল আমার কাজের আলো।

আজ রহিয়া রহিয়া মনে পড়ে তাঁরে পিছনে চাহি,
হৃদয়ের টানে জোয়ার যানে বসে তাঁর গান গাহি।
আজিকার বিহানে ঠিকরে পড়ে লোহিত রং রবি,
স্মৃতির বাতায়নে ভেসে উঠে ক্ষণে ক্ষণে তাঁর ছবি।
ঐ দুর আবিরে আঁকা ছবি ভাসে হৃদয়স্মৃতি পটে,
আমার সাথে নাই তারপরও তাঁরে সাথে পাই বটে।
জীবনের পিছনের গলিতে ফিরে দেখি বারেবারে,
তাঁর সনে কত কথা কত কাজ আজ উঁকি মারে।

সোহাগের সুন্দর আচরণে মোর হৃদয় যেত ভরে,
মানুষের মাঝে কত ভাল মানুষ এ বিশ্ব চরাচরে।
তাঁর ছোট কথা, ছোট্ট করে কথা কত ভাল লাগে,
দুরে বসে সুদুরের জানালায় রহিয়া রহিয়া জাগে।
চকিত চাহুনিসহ বিনম্র হাসি ভাসে অন্তরাকাশে,
মোর সাথে সোহাগ, তাঁর সাথে আমি এই প্রবাসে।
মনে পড়ায় তাঁর বিনম্র স্বভাব ক্ষণে ক্ষণে মোরে,
প্রভাত রবির লোহিত বরণ সে আজিকার ভোরে।

চপল চরণে ঠিকরে পড়া তাঁর গহীন গোপন হাসি,
প্রেমডোরে বাঁধিত মোরে ঐ দুরাকাশ হতে আসি।
কি যেন কহিত মোরে হয়ত যা বুঝিনি আগেপরে,
দুরে দুরে সরে সরে বুঝিলাম তাহা মুল্য ধরে ধরে।
কিছু মানুষ ধরাধারে চরাচরে ফিরে ফিরে আসে,
বাসনার বিলাসে অভিলাষে চোখে চোখে ভাসে।
সোহাগ আমার জীবনে এমনি একজন প্রীতিধর,
দুর বনে তাঁর সনে বাঁধা আমার স্মৃতির প্রীতিঘর।

রচনাকালঃ ০১/০৪/২০২১ খ্রি.
সময়কালঃ ৫.৩০ এএম। ঢাকা।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ