হর্টিকালচার সেন্টার

প্রকাশিত: ২:০৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২১

হর্টিকালচার সেন্টার

ড. খান মোঃ মনিরুজ্জামান

মানসম্মত ফলচারা আর মাতৃতরু সমাহার,
অনিন্দ্য সুন্দর পুণ্যভুমি হর্টিকালচার সেন্টার।
রকমারি ফলের শিশুচারা দাঁড়িয়ে সারি সারি,
সুসজ্জিত রুপরানী হর্টিকালচার রুপ বাহারী।
ফুল দলে সাজানো গেট যেন মাতা ফিটফাট,
মালিদলে বলে নিয়মিত চলে সেথা আর্মিকাট।
পরিপাটি মাতৃগাছেরা যেন বধু সাজে বঙ্গনারী,
সায়ন প্রদানে চারা হয় মাতৃগুণের অধিকারী।
ঠিক যেন নিগুঢ় পরিশুদ্ধ প্রেমের সুতিকাগার,
বিশুদ্ধ ধরণী হর্টিকালচারের প্রীতি উপহার।

বিশুদ্ধ জাত রচনায় হর্টিকালচার অদ্বিতীয়,
সঠিক জাতের নিশ্চয়তায় হর্টিকালচার প্রিয়।
উদ্যান চারা পুর্ণ পরিমিত পরিচর্যা নিয়মিত,
নান্দনিক উপস্থাপনা উদ্যান ভরে অবিরত।
পরিকল্পনা পরিণত প্রযুক্তি প্রখর মেধা সজ্ঞান,
সময়ের নিরিখে ফলচারায় বিকশিত বিজ্ঞান।
তাল, লয়, ছন্দের সমন্বয় সমসুর সৃজন করা,
প্রচলিত ও অপ্রচলিত চারা কলমে মনোহরা।
হর্টিকালচার স্বর্গীয় সাবলীল সহজ মনকাড়া,
এমাটি চারা কলমে পরিপাটি সোনার বাড়া।

ফলরাজের সারি সাথে পরিপাটি আটির চারা,
ভিয়েতনামী অপি নারকেল সেতো পাগলপারা।
মাটি ছুয়ে নারকেল তাও আবার তিন বছরে,
যেন আপনার মতন, যতনে রতন অবনী পরে।
জাতভেদে স্টক-সায়ন সুমধুর কম্টাটিবল,
ল্যাংড়া স্টকে সায়ন গৌড়মতি অতি সমুজ্জ্বল।
খির খেজুর স্টকে সফেদার সায়ন মানানসই,
জাম্বুরার সাথে মাল্টার সমন্বয়ে মোরা মুগ্ধ হই।
একই গাছে ভিন্ন ভিন্ন জাতের ফলের সমাহার,
অনিন্দ্য উপস্থাপনা হর্টিকালচার অতি চমৎকার।

ইরানী লেবু, বীজ ছাড়া লেবু আর লেবু বারমাসী,
থাই পেয়ারা, আর দেশী, আঙুর পেয়ারায় হাসি।
ব্রুনাই কিং, তাইওয়ান গ্রিন, হুয়ালাক, আশ্বিনা,
আতাউল গণি, নামডকমাই, ম্যাংগো ব্যানানা।
এ্যাভোকেডো, মিষ্টি ডুমুর, ডেফল, আলু বোখারা,
নাশপাতি, রাম্বুটান, কদবেল, কাঁঠাল, জাম্বুরা।
অ্যারাবিয়ান খেজুর, কেরালা ডিজে সম্পুর্ণা, লিচু,
কদবেল, কামরাঙা, কাউফল আরও কত কিছু।
ফুলে ফলে এসব মিলেই তো হর্টিকালচার সেন্টার,
ফলদ বৃক্ষের সম্প্রসারণে যার জুড়ি মেলা ভার।

ফল সম্পদ সৃজনে মানব সম্পদ দরকার,
তাই প্রকৃত প্রশিক্ষণাগার হর্টিকালচার সেন্টার।
কৃষক, নার্সারী ম্যান, মালি সম্পদ সৃজনাগার,
শুনে, দেখে, করে শেখার সুসমাহার চমৎকার।
হর্টিকালচার – সেতো ভিজিটরের নিত্য যাওয়া,
দেখেশুনে বাড়ে মানুষের কত যে চাওয়া পাওয়া।
হরেক ফল ব্যবস্থাপনা গুণগত ফল উৎপাদনে,
অতিব দরকারী ক্ষণে লাগসই প্রযুক্তি জ্ঞানে।
উৎপাদন জ্ঞানের কৌশলী প্রয়োগে হর্টিকালচার,
যেন অনৈচ্ছিক পেশীর মত অবিরত ক্ষুরধার।

একটা চারা কলম আমার দেশে কত যে সম্ভাবনা,
কবিজ্ঞানে বিজনে বসে ভাবি এমনি হরেক ভাবনা।
একটা চারা একটা পরিবার কিযে স্বপ্নে জড়াজড়ি,
এপাঠ যে জীবনের পাঠ আমি নিরবে নিরবে পড়ি।
চারা ফল দেবে, জল দেবে, দেবে কতনা শান্তিসুখ,
পাখি দেবে, আঁখি দেবে অম্লজানে ভরে দেবে বুক।
একটা গাছ, একটা অবলম্বন পিছনে কিছু স্মৃতি,
হয়ত জানেনা পথিক উদ্যানে জড়ানো তার প্রীতি।
পরিবেশে শান্তির অগ্রদূত হর্টিকালচার সেন্টার,
পাখি ফুল ফলে পরিবেশের এই বিচিত্র সমাহার।

সংক্ষেপিত

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ