যদি কোন সম্পর্ক অপ্রাপ্তি দিয়ে শুরু হয় তবে, সে সম্পর্কের জোয়ারেও মন ভেসে যায়না, ভাটাতেও মন স্থবির হয়ে যায়না।
যদি কোন সম্পর্ক প্রত্যাশাকে অসম্মানিত করে, তবে সে সম্পর্ক লজ্জিত হয়ে অপমৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
যদি কোন সম্পর্কের লেনদেন হয় শুধুই বস্তুগত, মূল্যবান উপকরন ও প্রয়োজনীয়তার,তবে সেখান থেকে হৃদয়ের অনুভূতির বিলুপ্তি ঘটে। এবং সেটা ব্যবসায়িক চুক্তি ,অার লাভক্ষতির হিসাবের খাতা ছাড়া অার কিছুই নয়।
যদি কোন সম্পর্কের অাকার, অায়তন ঠিক রাখতে সর্বদা নিজেকেই দক্ষ কারিগরের ভূমিকায় চরিত্রায়ন করতে হয়, তবে সে ক্লান্তিকর, ওজনদার সম্পর্ক বহন অসাধ্যকর হয়ে পড়ে।
যে সম্পর্ক স্বজনের হৃদয়ের রুদ্ধ দুয়ার খোলার প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে দরজার কড়া নাড়তেও ব্যর্থ হয়, সে পরাজয় নিকৃস্ট মানের অপমান।
যে সম্পর্কে দ্বিমত, অসম্মতি,অপছন্দ,অপারগতা ও অস্বীকৃতি জ্ঞাপনের প্রয়োগ বাধাপ্রাপ্ত, সে সম্পর্ক পরাধীনতায় পরিবেস্টিত।
যে সম্পর্কের অলিখিত প্রত্যাশা পূরনের দায় দিয়েছে প্রকৃতি, উপেক্ষাজনিত অবহেলায় সেটার অপরিপূর্নতায় ,শালীন ভাষায় “প্রতারনা” বলা যায় মনেহয়!
(বিঃদ্রঃ সম্পর্কের মূল উপাদান “বিশ্বাস”।
সম্পর্ক পরিচর্যা করতে হয় “অনুভুতি” দিয়ে।
অার “রেসপেক্ট” হলো সম্পর্কের সৌন্দর্য, গভীরতা।)