বাবাহীন এক বিরহগাঁথা ঈদ

প্রকাশিত: ১১:৪৯ অপরাহ্ণ, জুন ১৪, ২০১৮

বাবাহীন এক বিরহগাঁথা ঈদ

 

সাংবাদিক আসিফ কাজল ঃ

আজ এমন এক সময় আব্বার ৭ম মৃত্যু বার্ষিকী পালন করতে যাচ্ছি, যখন দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। এই ঈদ বা যে কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান সামনে আসলে আব্বার যেন তর সহ্য হতো না। ছেলেদের কাছে পেতে ব্যাকুল ছিলেন তিনি। ঈদের দিন ভোরে সবার আগেই আব্বা উঠে ওজু বানিয়ে ডাকতেন বাবু ওঠো, ফজরের নামাজ পড়তে হবে। আড়ামুড়া দিয়ে ঘুম জড়ানো চোখে বাবার কথায় উঠে চলে যেতাম ওজু করতে। সব ভাইগুলো সাথে নিয়ে আব্বা নামাজ পড়তেন। খুশির এই স্মৃতিগুলো হৃদয়ে আঘাত হানে এখন বেদনা হয়ে। আব্বা চলে গেছেন আজ ৭ বছর হলো। ২০১১ সালের ১৫ জুন তিনি আল্লাহ পাকের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যান। প্রতি বছর দিনটি আসে, আব্বাকে ভিষন মনে পড়ে। কিন্তু তার উপস্থিতি টের পেলেও অস্তিত্ব মেলে না। এ ভাবে দিন, মাস বছর গড়িয়ে আজ ৭ বছর পার করলাম বাবাহীন এক বিরহগাঁথা ঈদ। মনে মনে ভাবি বাবাহীন ঈদ তো আমার সন্তানরাও একদিন পালন করবে। তাদের বিরহটাও হয়তো ঠিক আমার মতো হবে। শুক্রবার। ১৫ জুন। যথারীতি ছোট ভাই ও ভাতিজাদের সাথে নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাব বংকিরাতে। মাটির সাথে মিশে যাওয়া আব্বার কবরটি জিয়ারত করবো। মিসকিন, হতদরদ্রি ও রোজাদারদের ইফতারী করাবো। কবরের কাছে গিয়ে আব্বাকে সালাম দেব, তিনি উত্তর দিলেও শুনবো না। কারণ সেই দরজা আমাদের নেই। আব্বা, আপনি বাবু বলে যে আদরের ডাক দিতেন, কত দিন সেই ডাক শুনিনি। একটি বার, শুধু একটি বার ডাকুন না সেই আদরের নাম ধরে। তোমার অতি আদরের সন্তান আমজুল, কাজল, বিদ্যুৎ, টুটুল ও মাসুম সেই ডাকটি শোনার অপেক্ষায় প্রতিটি ক্ষন গুনছে। ওপারে ভাল থেক বাবা।