কিছু কথা না বললেই না ! শুনেছিলাম,পরে জানলাম,তার আরো কিছু পরে বুঝলাম সাংবাদিকতা একটা মহৎ পেশা ! এই পেশা’র মাধ্যমে সমাজের সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে সব শ্রেনীর মানুষ’র সাথে ঘটে যাওয়া সকল অন্যায়,দুর্নিতী,সহ সকল প্রকার জনদুর্ভোগ লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরে সমাজ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও নিজের সম্পৃক্ততা রাখা যায়। অথচ অবাক বিষয় ! অন্যায়,দুর্নিতী,সহ সকল প্রকার জনদুর্ভোগ রিপোর্ট করতে গেলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যাদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে তারা তো প্রতিনিয়তই পেছনে হিংস্র বাঘের মত তাড়া করে বেড়াচ্ছে ।
এটা তো জীবনের জন্য বড় একটা ঝুকিই তাই না ? তার থেকেও বড় বিপদ যেটা এখন সামনে এসে দাড়িয়েছে সেটা হচ্ছে, এই মহৎ পেশারই কিছু মহৎ মানুষ ! উনাদের চোখে আসলে সমাজে কোনো অনিয়ম নেই। সরকারি, আধা-সরকারি, বে-সরকারি সব সেক্টরই জনকল্যানে তাদের জীবন প্রতিনিয়ত বিলিয়ে যাচ্ছেন। ফেলছেন মাথার ঘাম পায়ে। কাজেই কোনো সেক্টরের নিয়ে নেগেটিভ রিপোর্ট প্রকাশ করলে তাদের খুব কষ্ট হয় ! আর দৌড় দিয়ে গিয়ে সেই সমস্ত সেক্টরের কর্মকর্তা বা কর্মচারিদের মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বলে ভয় নেই আমি তো আছি ! যারা লিখেছে তারা কি সাংবাদিক ? ওদের নিউজ কি কেউ পড়ে ? আপনি ওদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করে দেন – আমরা আছি আপনার পাসে। এবার তাহলে আসি। ও আর একটা পরামর্শ ! যেহেতু রিপোর্ট বেরিয়েছে – নিজের পক্ষে আমার পত্রিকায় একটা প্রতিবাদ দিয়ে দেন। খরচ বেশি লাগবেনা আপনি তো আমার নিজেরই লোক !
( “অবশেষে একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানহানি সহ তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা”)
লেখাটি লেখার চেষ্টায়— মেহেদি হাসান সবুজ
জেলা প্রতিনিধি ‘চ্যানেল নাইন’ ও নির্বাহী সম্পাদক ‘ঝিনাইদহ সংবাদ ডট কম’