ঢাকা ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৩ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:১৭ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৭
আত্মহত্যার প্রবণতা বা চেষ্টা একটি Psychiatric Emergency. যারা আত্মহত্যার কথা বলে তাদের একটি বড় অংশ পরে কোন না কোন কারনে ঠিকই আত্মহত্যার প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়। এই সুপ্ত মনের ইচ্ছাকে ও কার্যকর প্রচেষ্টাকে মোটেও সহজ ভাবে নেওয়া যাবে না।
আত্মহত্যার পিছে লুকিয়ে থাকা ৯৫% শতাংশ কারণ হয়ে থাকে মানসিক ও বাকী ৫% শতাংশ কারণ থাকে শারীরিক কোন আঘাত বা ভিন্ন কোন ঘটনা।
যেসব মানসিক কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দেয় তার মাঝে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেঃ-
▣ বিষণ্ণতা
▣ স্কিজোফ্রেনিয়া
▣ অস্বাভাবিক ব্যক্তিত্ব ( Borderline Personality Disorder)
▣ নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন
এছাড়াও যারা দীর্ঘদিন যাবত কষ্ট ও রোগে শোকে ভুগছেন তারা জীবন থেকে মুক্তি পাবার আশায় আত্মহত্যার মত ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। কিছু কষ্টকর রোগের মাঝে রয়েছেঃ-
▣ Chronic pain
▣ Parkinsonism
▣ Cancer
▣ Paralysis etc.
সঠিক সময়ের সঠিক সিদ্ধান্ত ও জনসচেতনতার পাশাপাশি মানসিক চিকিৎসাই পারে আত্মহত্যার প্রবণতাকে রোধ করতে।
আসলে ঠিক কাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি???
পরিসংখ্যান কি বলছে????
আসুন জানি সেসব কারণ যেগুলো শ্রেণী ভেদে আত্মহত্যার ঘটনাকে প্রভাবিত করেঃ –
⊙ জেন্ডারঃ যদিও আত্মহত্যার প্রচেষ্টা মহিলাদের বেশি কিন্তু সাফ্যের দিক দিয়ে পুরুষরা এগিয়ে
⊙ ধর্মঃ ধর্মে বিশ্বাসীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা কম দেখা যায়। বিশেষ করে ইসলামিক দেশ গুলোতে আত্মহত্যার প্রবণতা অনেক কম দেখা যায়।
⊙ পেশাঃ কৃষক, পশু ডাক্তার, স্বাস্থ্য কর্মী ও ফিজিশিয়ানদের মাঝে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
⊙ বেকারত্বঃ বেকারদের মাঝে কর্মজীবীদের চেয়ে আত্মহত্যার প্রবনতা বেশি কাজ করে
⊙ বিবাহঃ বিবাহিত ব্যক্তিদের মাঝে আত্মহত্যার প্রবনতা কম থাকে কারণ হিসেবে বলা যায় সন্তানের প্রতি পিছু টান ও দায়িত্ব বোধ।
⊙ পূর্বে আত্ম হননের প্রচেষ্টাঃ আগে আত্মহত্যার ব্যর্থ চেষ্টাকারীদের ঝুঁকি অনেক বেশী।
⊙ যুদ্ধঃ যুদ্ধের সময় আত্মহত্যার হার কমে যায়।
⊙ সোশ্যাল ফ্র্যাগমেন্টেশনঃ ডিভোর্স, সেপারেসন, ব্রেক আপ আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ায়।
⊙ মিডিয়াঃ অনেক সময় নিজের অজান্তেই মন মিডিয়া থেকে প্রভাবিত হয়। মাত্রাতিরিক্ত ভায়োলেন্স মনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে যা আসতে পারে কার্টুন, নাটক প্রভৃতি দেখেও।
❏ আত্মহত্যা রোধ করতে কি করবোঃ
কেউ যদি নিজের জীবন হারাতেই চায়, তবে তাকে বাঁধা দেওয়া বা আটকে রাখা আসলে কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। আপনি চাইলেও কারো উপর সর্বক্ষণ নজর রাখতে পারবেন না । তবে আগে থেকেই যদি আত্মহত্যা করার মানসিকতা সনাক্ত করা সম্ভব তবে কাউন্সিলিং এরম মাধ্যমে সেখান থেকে কাউকে জীবনের পথেও ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
❏ প্রতিরোধ করুন সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টঃ
যৌন উৎপীড়ন ও কমবয়সী স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা করার প্রবণতা বর্তমানে আমাদের দেশে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।ইভটিজিং নামক অপরাধ যেন দিন কে দিন বেড়েই চলেছে।
গ্রামের সালিশ নামের অবিচার ও আত্মহত্যা করার প্রবণতাকে উসকে দিচ্ছে। এক্ষেত্রে আইন রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান তথা বিচার বিভাগের আরও নিরপেক্ষ, সৎ ও কঠোর হওয়া জরুরী। প্রভাবশালীদের অন্যায় প্রভাব থেকে বের হয়ে আসতে হবে, নীতি বহির্ভূত বিচার একমাত্র প্রতিবাদের মাধ্যমেই রোধ করা সম্ভব।
❏ বিষণ্ণতা রোধে কাউন্সিলিংঃ
তীব্র বিষণ্ণতায় আক্রান্ত মা অনেক সময় নিজের মানসিক স্থিতি হারিয়ে তার সন্তানদের হত্যা করে অথবা নিজেই আত্মহননের পথ বেছে নেয়। তার মাঝে এই ধারনার সৃষ্টি হয় যে মায়ের অবর্তমানে সন্তানরা নির্যাতিত হবে। তাই আমরা প্রায়ই মিডিয়ায় মা ও শিশু হননের দুঃখজনক খবর শুনতে পাই।
❏ গণমাধ্যমঃ
আত্মহত্যার রোধে ও জনসচেতনা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমকারীদের প্রচার একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।
মানসিক রোগ সংক্রান্ত যে কোন বিষয় জানতে ও সহায়তা পেতে চলে আসুন মনোভুবন সেন্টার। আপনাকে সহায়তা দিবেন ডাঃ মোঃ হারুনুর রশীদ MBBS,Mphil, MCPS,FCPS (সাইকিয়াট্রি) সহকারী অধ্যাপক ডেল্টা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, মিরপুর ঢাকা, প্রাক্তন সহকারী অধ্যাপক (BSMMU) Ex-PG Hospital, Dhaka।
মনোভুবন সেন্টার
বাড়ী নং- ২/৫, রোড নং-৫ (ব্লক-এ)
নীচ তলা , লালমাটিয়া (পানির ট্যাংকের পূর্ব পাশে)
ফোনঃ ০২-৫৮১৫২৫১৮, ০১৭৫৯-৯১১৬১১(ডাক্তার), ০১৭১৭-৮৪৩৫৩৩(আ কাদের)
সম্পাদক – মাহমুদ হাসান টিপু
নির্বাহী সম্পাদক – পিন্টু লাল দত্ত
বার্তা সম্পাদক – সোহাগ আলী
www.jhenaidahsongbad.com
jhenaidahsongbad@gmail.com
প্রকাশক- জাহিদুল ইসলাম বাবু মিয়া
ব্যবস্থাপনা পরিচালক – মোঃ মজিবুর রহমান সরকার
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সড়ক,ঝিনাইদহ
০১৭১১২৬০৩৯৩ / ০১৭১১৪৫২০৫১
Design and developed by zahidit.com