ঝিনাইদহ-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী হতে চান যারা

প্রকাশিত: ৫:৩৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০১৭

এই আসনে বিএনপির পক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিকবিষয়ক সহ-সম্পাদক কণ্ঠশিল্পী মনির খান, কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সহ-সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, কোটচাঁদপুর উপজলো বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম এবং মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব লতিফুর রহমান চৌধুরী, সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে মেহেদী হাসান রনি নাম শোনা যাচ্ছে।

 

এই আসন থেকে ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে মরহুম শহিদুল ইসলাম মাস্টার (বিএনপি), ২০০৮ সালে শফিকুল ইসলাম চঞ্চল (আওয়ামী লীগ) ও ২০১৪ সালে নবী নেওয়াজ (আওয়ামী লীগ) এমপি হিসেবে নির্বাচত হন।

 

 

ঝিনাইদহ-৩ আসনটি মূলত বিএনপি-জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত। ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিএনপির প্রার্থী শহীদুল ইসলাম মাস্টার ৩ বার এমপি নির্বাচিত হন। আর বিএনপির নিকটতম প্রার্থী হিসেবে জামায়াতের প্রার্থীই বেশি ভোট পান। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি এ আসনটি হাতছাড়া করতে বাধ্য হয়। আর ২০১৪ সালের নির্বাচনে তারা অংশ নেয়নি।

 

 

গত ৫টি নির্বাচনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে ১ লাখ ৪২ হাজার ৯ ভোটের মধ্যে বিএনপির শহিদুল ইসলাম মাস্টার পান ৬১ হাজার ৩৯১ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী জামায়াতে ইসলামীর এএসএম মোজাম্মেল পান ৪৪ হাজার ৮৬১ ভোট। আওয়ামী লীগের সাজ্জাতুজ জুম্মা পান ৩১ হাজার ৪১২ ভোট। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিএনপির শহিদুল ইসলাম মাস্টার পান ৬৫ হাজার ৭২৫ ভোট। তার নিকটতম জামায়াতে ইসলামীর এসএম মোজাম্মেল হক পান ৫৬ হাজার ৪৫ ভোট। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাজ্জাতুজ জুম্মা পান ৫০ হাজার ৮৮২ ভোট। ২০০১ সালের নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির শহিদুল ইসলাম মাস্টার পান ১ লাখ ২৭ হাজার ২৩ ভোট। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের সাজ্জাতুজ জুম্মা পান ৮৪ হাজার ২৮৯ ভোট। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শফিকুল আজম খান চঞ্চল পান ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৬১ ভোট। আর জামায়াতে ইসলামীর মো. মতিয়ার রহমান পান ৮১ হাজার ৭৩৯ ভোট। বিএনপির শহিদুল ইসলাম মাস্টার পান ৫৯ হাজার ১৫ ভোট। সর্বশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নবী নেওয়াজ পান ৪৬ হাজার ১০৫ ভোট। আর নিকটতম প্রার্থী জাতীয় পার্টির কামরুজ্জামান স্বাধীন পান ১ হাজার ৪৬৫ ভোট।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ