হাসপাতালে ভেঙে পড়েছে চিকিৎসা সেবা

প্রকাশিত: ৭:২১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০১৮

হাসপাতালে ভেঙে পড়েছে চিকিৎসা সেবা

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। চিকিৎসার জন্য ছুটে এসে মানুষ হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলছে দীর্ঘদিন থেকে। কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগ এ অবস্থার উন্নয়নে এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নিতে না পারায় ভুক্তভোগী মানুষ নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যার এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ২৭ ডাক্তারের পদের মধ্যে বর্তমানে ডাক্তার আছে মাত্র ৩ জন। এর্ াসবাই মেডিক্যাল অফিসার (সাধারণ) এই ৩ জন হলেন ডা. ফারহানা শারমিন, নাজমুস সাকিব, আহমেদ ফিরোজ জাহাঙ্গির। ৫০ শয্যায় উন্নীত করার পর শুধু ভবনের সংখ্যা বাড়রেও ডাক্তারের সংখ্যা বিশেষ করে কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এখানে আসেনি। কোন সার্জিক্যাল ডাক্তার না থাকায় অপারেশন করাও সম্ভব হয়না। অর্থাৎ নরমাল কোন অপারেশেনের জন্যেও বাইরের ক্লিনিকে যেতে হয় এ এলাকার রোগীদের। অন্যান্য ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এখানে আশা করা অরণ্যে রোদন ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই রোগী সাধারনকে যশোর ঝিনাইদহ কিংবা ঢাকা ও খুলনা যেতে হয়।

 

এছাড়া বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা সপ্তাহের শুক্রবার হাসপাতাল এলাকায় গড়ে তোলা বিভিন্ন ক্লিনিকে আসেন। সেখানে ৪০০/৫০০ টাকা ফি দিয়ে চিকিৎসাপত্র নিতে হয় সাধারন রোগগ্রস্ত মানুষকে। বর্তমানে যে ৩ ডাক্তার নিয়োজিত আছেন তাদের দিনে আউটডোরে চিকিৎসা দিতে দেখা যায় না। জরুরি বিভাগ ও ওয়ার্ডে রোগী দেখতে সময় কেটে যায় বলে সূত্র জানায়। তবে রাতেও জরুরি বিভাগে কোন ডাক্তার কম সময়ই পাওয়া যায়। বলতে গেলে ৬ উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার বা মেডিক্যাল এ্যাসিস্ট্যান্টরাই হাসপাতাল চালাচ্ছেন বর্তমানে। এরাই এখন রোগীদের ভরসা।

 

আউটডোর, ভর্তি হওয়া রোগীদের চিকিৎসা কিংবা যশোর ঝিনাইদহ রেফার্ড করে থাকেন এরাই। রাতের বেলা কোন মারাত্মক অসুস্থ রোগী ভর্তি করা হলে জরুরি বিভাগে ডিউটিরত মেডিক্যাল অফিসার পাওয়া দুষ্কর।

 

এ ব্যাপারে হাসপাতালের টিএইচএ ডা. সাহাবুদ্দিন অবশ্য বরাবরই বলে আসছেন, হাসপাতালে চিকিৎসার উন্নতি হয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ