ঢাকা ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:২৬ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০১৮
মো. নাসির উদ্দীন, মহেশপুর (ঝিনাইদহ) থেকে : ১৬০ বছর যাবৎ জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার প্রথম মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয় ঐতিহ্যবাহী মহেশপুর হাই স্কুল। বর্তমানে মহেশপুর পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে। তবে ঐতিহ্যবাহী হাইস্কুলটি এখনো জাতীয়করণ হয়নি।
জানা যায়, ১৮৫৬ সালে মহেশপুর উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় নামে বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু করেন স্থানীয় জমিদাররা। পরে ১৮৬৩ সালে শিব মন্দিরের পাশে একটি ছোট পাকা জমিদার বাড়িতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম চালু করে। প্রথমদিকে জমিদাররা নিজেরাই শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন।
পরে ১৮৭৬ সালে কুষ্টিয়া জেলার উমেষ চন্দ্র চৌধুরী (এমএবিএএল) হেড মাস্টার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ৬/৭ বছর হেড মাস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর তিনি চলে গেলে ১৮৮৩ সালে কুষ্টিয়া জেলা থেকে আগত শ্রী স্বরৎ চন্দ্র ভট্টাচার্য দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মহেশপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
এই বিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্র কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়েরর প্রথম এমএ নীলাম্বর মুখোপাধ্যায় যিনি কাশ্মির মহারাজের মন্ত্রী পরে কলকাতা মিউনিসিপালিটির ভাইস চেয়ারম্যান হন। বিদ্যালয়ের এসএসসি ফলাফল প্রশংসনীয়। ২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল শতভাগ। স্কুলে তিনতলা ও দ্বিতলা পৃথক ২টি ভবনে ৩৬টি শ্রেণিকক্ষ আছে। বড় একটি লাইব্রেরি আছে। ২২ জন শিক্ষক ও ৫ জন কর্মচারী মিলে মোট ২৭ জন সবাই এমপিওভুক্ত। ১৯৭৯ সালে বিদ্যালয়টি পাইলট পরে মডেল প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, ঐতিহ্যবাহী মহেশপুর হাই স্কুল এখনো জাতীয়করণ হয়নি। সম্প্রতি জাতীয়করণের জন্য সব কাগজপত্র শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর পাঠানো হয়েছে।
Design and developed by zahidit.com