ঢাকা ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:২৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২৪
শেখ ইমন,ঝিনাইদহ: দেড় বছর পার হতে না হতেই ভেঙ্গে একাকার ৩৯ কোটি টাকার রাস্তা। এরই মধ্যে ভাঙ্গন ঠেকাতে তিনদফায় মেরামত করা হয়েছে রাস্তাটি। সবশেষ ১০২ মিটার ভাঙ্গা সড়ক সংস্কার করতে ব্যায় করা হয় ৩২ লাখ টাকা। কিন্তু ভাঙন ঠেকানোর জন্য সেই সংস্কার কোনো কাজে আসেনি। দুই সপ্তাহ আগের বৃষ্টিতে আবার ধসে পড়েছে সড়কটি। সড়কটির এই দুরবস্থার কারণে প্রতিদিন অন্তত ৫০ হাজার মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন,সংস্কারের কাজ হয়,কিন্তু তার মান ঠিক থাকে না। যে কারণে দুই-চার মাস যেতে না যেতেই গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক ধ্বসে পড়ে। আর সড়ক বিভাগের দাবি,দুই বছর আগে নদী খননের সময় তলদেশ থেকে মাটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এখন তারা যেভাবেই চেষ্টা করুন না কেন,তা কোনো কাজে আসছে না। তবে তারা এবার শক্তিশালী বাঁধ দিয়ে সড়ক সংস্কার করবে বলে পরিকল্পনা করছে। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ব্যস্ততম সড়ক এভাবে ভেঙে পড়ে থাকায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। মহেশপুর পৌরসভার সামনে কপোতাক্ষ নদের ধার ঘেষে যাওয়া খালিশপুর-যাদবপুর ভায়া জিন্নানগরের ব্যস্ততম সড়ক এভাবে ভেঙ্গে পড়ে থাকায় যানবাহন চলাচলে মারাত্বক ক্ষতি হচ্ছে। ভারি যানবাহন শহরের মধ্য দিয়ে চলাচল করায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুজ্জামান রিপন জানান,‘মহেশপুর উপজেলার মানুষের চলচলের জন্য এই সড়কটি খুবই গুরুত্বপুর্ন। সড়কটি খালিশপুর থেকে কপোতাক্ষ নদের ধার দিয়ে মহেশপুর শহর হয়ে দত্তনগর,জীন্নানগর ও যাদবপুর গেছে। আগে সড়কটি খুবই খারাপ ছিল। ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৩৯ কোটি টাকা ব্যায়ে ওই সড়কটির সাড়ে ৪৮ কিলোমিটার সংষ্কার কাজ করা হয়। ২০২৩ সালের শেষ দিকে সড়কটিতে ধস দেখা দেয়। ওই স্থানের ১০২ মিটার জায়গার পিচ-পাথর ধ্বসে গর্তের সৃষ্টি হয়।’
স্থানীয় বাসিন্দা জামিরুল ইসলাম জানান,‘সড়ক বিভাগ বার বার মেরামত করছে। কিন্তু বার বারই ধ্বসে পড়ছে। এতে সরকারী অর্থের অপচয় হচ্ছে।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আহসান উল কবীর জানান,‘সড়কের এই ভাঙ্গন নিয়ে তারাও চিন্তিত। সড়কটি ৩ বছর আগে যখন সংষ্কার হয়েছিল,তখন কোনো সমস্য দেখা দেয়নি। পরে কপোতাক্ষ নদ খননের পর এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, খননের সময় ভেতরের মাটি কেটে পাড় বাঁধা হয়। এখানে সেটা করা হয়নি। নদ এর ভেতর থেকে কাটা মাটি সড়কের উপর রাখা হয়েছিল, ওই মাটি পরে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এখন তারা শক্ত কোন প্রকল্প গ্রহন করা যায় কিনা তার সম্ভব্যতা যাচাই করছেন’।
Design and developed by zahidit.com