কালীগঞ্জের একই গ্রামের ৩ হতদরিদ্র শিক্ষার্থী পেল জিপিএ- ৫

প্রকাশিত: ৭:৩৪ অপরাহ্ণ, মে ৭, ২০১৯

কালীগঞ্জের একই গ্রামের ৩ হতদরিদ্র শিক্ষার্থী পেল জিপিএ- ৫

ঝিনাইদহ সংবাদ ডেস্ক:
একই গ্রাম থেকে তিন হতদরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী এবার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ- ৫ পেয়েছে। তাদের বাড়ি ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ শহরের ফয়লা গ্রামে। হতদরিদ্র পরিবারের ৩ মেধাবীরা হলো- মদিনা কারিগর, সুবির দাস ও লিখি আক্তার মিম। কলেজে ভর্তির পর এখন কিভাবে লেখাপড়ার খরচ যোগাবেন সে চিন্তায় পড়েছেন অভিভাবকেরা। এদের মধ্যে মদিনা ও মিম শহরের সলিমুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র হতে এবং সুবির দাস সরকারী নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল।
সলিমুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক গৌতম বিশ্বাস জানান, এ বছর তার বিদ্যালয় থেকে মোট ৬৩ জন জিপিএ -৫ পেয়েছে। এদের মধ্যে মদিনা ও মিম অত্যন্ত মেধাবী। তারা অভাবী পরিবারের সন্তান। মদিনা কারিগরের বাবা ইসমাইল কারিগর শহরের ফয়লা গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন এবং শহরে কুলির কাজ করে সংসার চালান। আর মিমের বাবার বসতভিটের অল্প একটু জমিই একমাত্র ভরসা। তিনি পরের ক্ষেতে কামলার কাজ করে সংসার চালান। ওই গ্রামেরই অপর মেধাবী শিক্ষার্থী সুবির দাস শহরের সরকারী নলডাঙ্গা ভূষন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিয়ে জি.পি.এ -৫ পেয়েছে। তার বাবা তপুন দাস পেশায় একজন ভ্যান চালক। শ্রাবন্তী দাস নামের তার আরেক মেয়ে যশোর এম,এম. কলেজে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স করছে। বসত ভিটের ২ শতক জমিই তাদের একমাত্র সম্বল। মা পুষ্প রানী দাস নিজে বাড়িতে সেলাই মেশিনে কাজ করে ২ সন্তানের লেখাপড়ার খরচ চালান।
কালীগঞ্জ ফয়লা ওয়ার্ডের কমিশনার আশরাফুল ইসলাম মিঠু জানান, একই গ্রাম থেকে ৩ হতদরিদ্র মেধাবী জিপিএ -৫ পেয়ে সকলকে খুশি করেছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ