জেলার পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের বেহাল দশা

প্রকাশিত: ৫:২৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭

জেলার পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের বেহাল দশা

ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ জেলার পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ার পথে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল, একটি ম্যাটানিটি হাস্পাতল,৬ টি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সহ ৬৭ টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ কেন্দ্রের বেহাল দশা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে গত ২৩/১০/২০১১ সাল থেকে ডাঃ জাহিদ আহমেদ ৭ বছর ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক হিসাবে একই জেলায় দায়িত্ব পালন করে আসছে। যেখানে সরকারি কর্মচারীদের একই কর্মস্থানে ৩ বছরের বেশী থাকার কথা নহে। সেখানে উপর মহলের তদারকির মাধ্যেমে এক টানা ৭ বছর একই স্থানে আছে জাহিদ আহমেদ।

 

ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১জন সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার, ১ জন ফার্মাসিস, ১ জন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শীকা ১ জন আয়া ও একজন পিয়ন কাম নিরাপত্তা প্রহরী থাকার কথা সেই সাথে এই কেন্দ্র গুলিতে সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসারের বাসভবন আছে। যাহাতে গ্রামের মানুষ বিপদ আপাদের মুহূর্তে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে পারে। সেখানে ৬৭ টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিটি ডাক্তারের বাসভবন বছরের পর বছর ব্যবহার না হওয়ায় এই গুলি ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হওয়ায় অনেক বাসভবন এখন মাদক সেবী ও জুয়াড়িদের নিরাপদ আড্ডা খানায় পরিণত হয়েছে। বছরের পর ব্যবহার না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে মুল্যবান আসবার পত্র সহ সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পদ।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি হওয়ার পর কোন ডাঃ এই কেন্দ্র গুলিতে ১ দিনের জন্য বসবাস করেনি। তারা সবাই শহরে পরিবার নিয়ে বসবাস করে থাকে। সেখান থেকেই তাদের মত অফিস করে। কেউ বেলা ১০ টায় এসে ১২ টায় চলে যায় আবার কেউ আসেনা দিনের পরদিন। কেন্দ্র গুলিতে নেই পর্যাপ্ত ঔষধের সরবরাহ। কোন কোন কেন্দ্রে সপ্তাহে ২/১ দিন ডাক্তার উপস্থিত হয় কোন কেন্দ্রে ডাক্তার নেই বছরের পর বছর। সেদিকে তার কোন খেয়াল নেই।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলিতে কেউ না থাকলেও জেলা কার্যালয়ে জনবলের অভাব নেই।তারপরে ও ঝিনাইদহ জেলা কার্যালয়ে ডেপূটেশনে অতিরিক্ত ৪ জন আয়া পিয়ন কাজ করে। শহিদুল নামের একজন পিয়নের মুল পোস্টিং ফুরসন্দি ইউনিয়নে তাকে জেলা কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।

 

অপর এক পিয়ন শহিদুলের মুল পোস্টিং নলডাঙ্গা ইউনিয়নে এই শহিদুলকে জেলা কার্যালয়ে নিয়ে আসে। কিন্ত সে এখানে পিয়নের কাজ করেন না। তার ঝিনাইদহ শহরে সায়েদ রবার স্টামের দোকান আছে। সেই দোকানে দিনে ব্যবসা করে আর রাতে এসে জেলা কার্যালয় অফিসে ঘুমায়। জেলা অফিসের নাইট গার্ড সাইফুল দিনের বেলা পিয়নের কাজ করে। হরিনাকুন্ডুর একটি কেন্দ্র থেকে নিয়ে এসেছে পিয়ন সবুরকে ও ঝিনাইদহের ঘোড়শাল কেন্দ্র থেকে নিয়ে এসেছে রাধারানিকে তাকে দিয়ে অফিসে চা বানানর কাজ করান।

 

জানা গেছে অফিসের পিয়ন দিয়ে জাহিদ তার বাড়ির বাজার করান সহ অনেক ব্যাক্তিগত কাজ করান।

 

এই প্রসঙ্গে ডাঃ জাহিদ আহমেদ বলেন ঝিনাইদহে অনেক শূন্য পদ রয়েছে যার কারনে কেন্দ্র গুলি চালাতে আমাকে হিমসিম খেতে হয়। আমি নিয়মত মনিটরিং করি যাদের পাইনা তাদের কারন দশাও নোটিশ করে থাকি। এতে অনেকে আমার প্রতি মনখুন্য। আমার সময়ে ঝিনাইদহ ম্যাটানিটি ৫ বার পুরস্কার পেয়েছে। আমি শ্রেষ্ঠ অফিসারের পুরস্কার পেয়েছি। আমার বিরুদ্ধে যদি কেউ কোন অভিযোগ করে তবে তাহা মিথ্যা কথা। প্রধান কার্যালয়ের অবগতি করে ৪ জন কে অফিসে নিয়ে এসেছি। শহিদুল রাতে এখানে ডিউটি করার পর দিনের বেলায় কি করল সেটা আমার দেখার বিষয় নহে বলে সে জানান।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ