মহেশপরের ঐতিয্য কপোতাক্ষ নদী অবৈধ্য দখল দ্বারদের উচ্ছেদ ও পূর্নখননের দাবি এলাকাবাসির

প্রকাশিত: ৫:২৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৬, ২০১৭

মহেশপরের ঐতিয্য কপোতাক্ষ নদী অবৈধ্য দখল দ্বারদের উচ্ছেদ ও পূর্নখননের দাবি এলাকাবাসির

 

শামীম খান ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ঃ মহেশপুরের ঐতিয্য মাইকেল মধুসুদন দত্বেও কপোতাক্ষ্য নদী অবৈধ্য দখল দ্বারদের উচ্ছেদ ও পূর্নখননের দ্বাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
কপোতাক্ষ নদী বর্তমানে অবৈধ্য দখলদ্বারদের আবাদী জমি, পুকুর ও বিল্ডিং এ পরিনত হয়েছে। মাইকেল মধুসুধন দত্বের কপোতাক্ষ নদী যেন কেঁদে কেঁদে বলছে মোরে বাচাও আমি বুক ভরা পানি চাই,আমাকে পানি দাও । আমাদের সমাজের সচেতন ব্যাক্তিরা একবারও ভাবেনা বা ভাবার চিন্তাও করেনা কেমন আছে কপোতাক্ষ নদী। কেমন আছে নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করা জেলেরা । মহেশপুরের বুক চিরে প্রবাহিত হয়েছে মহাকবি মাইকেল মদুসুধন দত্বের কপোতাক্ষ নদীটি। এক কালে প্রচুর বানিজ্য সমৃদ্ধ ছিল মহেশপুর ঐ কপোতাক্ষ নদীর কারনে । পূর্বের মুরুব্বীরা বলতেন এই নদীতে এক সময় কলিকাতা থেকে জাহাজ চলাচল করত। এই কপোতাক্ষ নদীতে জেলেরা মাছ শিকার করে ,মাঝিরা নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে সংসার চালাত। সাধারন মানুষ টাটকা মাছ শিকার করে খেতেন। ইংরেজরা গুরুত্ব বুঝে ১৮৬৯ সালে একটি পৌরসভা ও একটি ডাক বাংলো ঘোষনা করেন। ১৮৬৯ সাল থেকে ১৮৮০ সাল পর্যন্ত পৌর চেয়ারম্যান ছিলেন পিবি মার্টিন । বর্তমানে সেই কপোতাক্ষ নদী আর নেই, নদীর দুইপাশে গড়ে উঠেছে অবৈধ্য ভাবে বড় বড় বিল্ডিং ভূমি দস্যু দখল দ্বাররা দখল করে খনন করেছেন পুকুর ও আবাদী জমি হিসাবে চার্ষাবাদ করছে তারা । এছাড়া মাটি ভরাট করে গড়ে তুলছে বিভিন্ন দোকান ক্লিনিক ও বসত বাড়ি । যে নদীতে এক সময় নৌকা দিয়ে চলাচল করত মানুষ বর্তমানে পায়ে হেটে চলাচল করছে । নদী যত ছোট হয়ে আসছে অবৈধ্য দখলদ্বরদের সংখ্যা তত বাড়ছে। ভূমি দস্যুরা বিলিন করে দিচ্ছে কপোতাক্ষ নদীর সুন্দর্য্য বেকার হয়ে পড়ছে জেলে সম্প্রদায়ের লোকেরা ।বঞ্চিত হচ্ছে সাধারন মানুষ টাটকা মাছ খাওয়া থেকে । ফলে সরকার হারাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব । বিলিন করে দিয়েছে দূষন মুক্ত পরিবেশ ও নদীর সুন্দর্য্য। জিরো থেকে হিরো বনে যাচ্ছে অবৈধ্য দখল দ্বাররা । সরকারী উদ্দগ্যে মহেশপুরের ঐতিয্য ফিরিয়ে দিতে কপোতাক্ষ নদীটি পূর্ন খননের জন্য মাননীয় সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজের নিকট জোর দ্বাবি জানিয়েছে এলাকা বাসি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ