ঢাকা ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:৫৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
অমিত সরকার, মহেশপুর থেকে ঃ
দূর্নীতির স্বর্গরাজ্যের আর এক নাম হিসেবে পরিচিত মহেশপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস।ওই অফিসের সকলেই বিভিন্ন নিয়ম কানুন ও ভুয়া খাত দেখিয়ে এবং দলিল লেখক সমিতির নাম ভাঙ্গিয়ে ভূমি ক্রেতাদের নিকট থেকে অবৈধ্য ভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
দীর্ঘদিন যাবত মহেশপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এ ধরণের দূর্নীতি চলতে থাকলেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ যে কোন কারন বসত দূর্নীতি বাজদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারছে না। আর প্রতিনিয়ত ভূমি ক্রেতাদের গলা কেটে রাতা রাতি অবৈধ্য টাকার পাহাড় গড়ছেন কিছু অসাধু ভূমি কর্মকর্তা কর্মচারী ও দলিল লেখকরা।
একটি সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পর্যায়ে ১লক্ষ টাকার মূল্যে জমির দলিল করতে সরকারী নিয়মানুযায়ী খরচ হয় ৯হাজার টাকা । এর মধ্যে স্ট্যম্প খরচ ৩ হাজার টাকা , রেজিস্ট্রেশন ফ্রি ২ হাজার টাকা, স্থানীয় উন্নয়ন কর ৩ হাজার টাকা,এবং উৎসব কর ১ হাজার টাকা। কিন্তু সেখানে দলিল লেখক সমিতির কারসাজিতে তাদের নির্দেশ অনুযায়ী ১ লক্ষ টাকার মূল্যে জমির দলিল রেজিস্ট্রি করতে সরকার নির্ধারিত ফ্রি ৯ হাজার টাকার পরিবর্তে বিভিন্ন মনগড়া খাত দেখিয়ে ১৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছেন।
নাম অপ্রকাশে কয়েক জন দলিল লেখক বলেন, ১লক্ষ টাকার মূল্যে জমির দলিল রেজিস্ট্রি করতে ৯ হাজার টাকার পরিবর্তে ১৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে থাকি কথাটা সত্যে । কিন্তু এ টাকার ভাগ অনেককেই দিতে হয়। যাদের দলিল রেজিস্ট্রি কম হয় তাদেরকে , কিছু সাংবাদিক এবং সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কিছু কর্মকর্তা কর্মচারিকে প্রতি সাপ্তায় এ টাকার ভাগ দিতে হয়।
এ বিষয়ে মহেশপুর একতা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেনের সাথে ০১৭২৫৪৫২৩১৬ যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সরকারী নিয়মানুযায়ী সমিতির দলিল লেখকরা জমির দলিল রেজিস্ট্রি করেন। কিন্তু কিছু সার্থ ভোগী লোক সমিতির ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে।
Design and developed by zahidit.com