মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধিঃ মহেশপুর উপজেলার সামন্তা বাজারের ছমির আলীর ফসলের জন্য গাছড়া দিয়ে তৈরী হেকিমি ঔষধ এখন কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সরজমিনে খোজ নিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন গাছ গাছড়া সহ ১০/১২টি উপকরন দিয়ে তৈরী তরল জাতীয় ঔষধ কৃষকরা সারের সাথে মিশিয়ে জমিতে দিলে ধানের বোমা লাগা, গোড়া পচা রোগ প্রতিরোধ করে, গাছ সতেজ থাকে,ফলন ভালো হয় এবং সার কম লাগে।
উপজেলার কাজীরবেড় ইউনিয়নের সামন্তা ষাটনল পাড়ার মৃত মসলেম মিয়াজীর ছেলে ছমির আলী এই ঔষদের আবিষ্কারক। গত ৮/১০ বছর ধরে সে ছোট্র পরিসরে তার কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। গত ২/৩ বছর ধরে তার এই ঔষদের চাহিদা এলাকায় বেড়েছে । তার ঔষধ ব্যবহার করে চাষীরা উপকৃত হচ্ছে। এই ঔষধ ধান ছাড়াও পাট, আলু, কপি, মসুরী সহ সব ধরণের চাষে ব্যবহার করা হয়। এক বিঘা জমিতে ২শ গ্রাম তরল ঔষধ ব্যবহার করলে চাষীরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হচ্ছে।
নতুন কোলা গ্রামের আকছেদ আলীর ছেলে মোস্তফা কামাল জানায় সে কপি,বেগুন, ধান চাষ করে এই ঔষধ ব্যবহার করে ভালো ফল পেয়েছে। একই কথা জানালেন ঐ গ্রামের মনিরুজ্জামা, নাটিমা গ্রামের আসাদুজ্জামান, হেদায়েতউল্লাহ, পলিয়ানপুর গ্রামের এমদাদুল হক সহ আরো অনেকে। তারা এই ঔষধ ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদন ভালো পেয়েছে। ছমির আলী জানায়, তাকে স্থানীয় বিভিন্ন কোম্পানীর ঔষধ বিক্রেতারা হুমকি দেয়। তিনি ইতিমধ্যে তার এই হেকিমি ঔষধের গুনাগুণ নিয়ে মহেশপুর কৃষি অফিসে আব্দুল হামীদের সাথে আলোচনা করেছেন এবং তিনি এলাকায় খোজ-খবর নিয়ে তার প্রশংসা করেছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সেলিম জানায়, এই ঔষধটি ব্যবহার করে তার এলাকার কৃষকরা উপকৃত হচ্ছে। ছমির আলী সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। এই ঔষধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বৃহত্তর পরিসরে কৃষকদের মাঝে যাতে ছড়িয়ে দেওয়া যায় সে ব্যপারে তিনি সরকারের উপর মহলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।