ঢাকা ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৪৯ পূর্বাহ্ণ, জুন ৬, ২০২০
রফিক মন্ডল, কোটচাঁদপুর :
মোঃ আমিনউদ্দিন ও আয়েশা খাতুন ৪ ছেলে ও ৫ মেয়ের মধ্যে মোঃ মফিজুল ইসলাম তাদেরই একজন। অভাব যেখানে নিত্যদিনের সঙ্গী। লেখাপড়া সেখানে আকাশকুসুম! মফিজুল ইসলাম পেশায় একজন ভ্যানচালক। বিয়ে করেছেন আফিয়া খাতুন কে। সুখের সংসারে তাদের অভাবী ঘর আলোকিত করেছে একে একে ৪ মেয়ে ও ১ ছেলে । ৪ মেয়ের মধ্যে জেসমিন ও খাদিজা কে বিয়ে দিয়েছেন আর শাহানাজ ১০ ম শ্রেনি ও রাবেয়া ৭মশ্রেনি ফুলবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এবং ছেলে আশরাফুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। শত কষ্টের মাঝে অভাবী সংসারে অন্যের নিকট হাত না পেতে ভ্যান চালিয়ে জোড়াতালি দিয়ে সংসার চালান। সংসারে অভাব থাকলেও ভ্যানচালক মফিজুলের আত্মমর্যাদা অনেকখানি শক্ত । বিধি বাঁধ সেজেছে অভাবী মফিজুলের সুখের সংসার। প্রিয় সহধর্মিণী আফিয়া ৩ বছর ধরে মাথায় সমস্যা। অভাবের সংসার সু চিকিৎসার বড়ই অভাব। তারপরেও চলছিল ভ্যান চালক মফিজ। একদিকে ভয়ংকর মরণব্যাধি করোনা ভাইরাস এর কারনে পরিবার যখন চরম উৎকণ্ঠা আর উদ্বেগ ঠিক সেই চলমান বিপদের মধ্যে আবারো বড় বিপদের হাতছানি দিলো মফিজুলের একমাএ মাথা গোজার ঠাই বসতভিটায়। তছনছ হয়ে গেল মফিজুলের স্বপ্নের একমাএ শান্তির কুঁড়েঘর।
প্রলয়ংকারী আমফান তান্ডবের ২ সপ্তাহের অধিক পার হলেও কেউ খোঁজ নেননি হত দরিদ্র অসহায়
ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত ভ্যান চালক মফিজুলের পরিবারের। মানবেতর জীবনযাপন করছেন ভ্যান চালক মফিজ ।
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহর ইউনিয়ন, হাড়ডাঙ্গা বিদ্যাধরপুর গ্রামের পূর্বপাড়ার হতদরিদ্র ভ্যান চালক মোঃ মফিজুল ইসলাম (৫২) এর ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ঘর বাড়ির বিশাল ক্ষয় ক্ষতি বলে জানান রকি হাসান ।
পরিবারে আট জন সদস্য। সব মিলিয়ে করুণ অবস্থায় জীবনযাপন করছেন তিনি। ভূমিহীনের মতো জীবনযাত্রা তাঁর পরিবারের ৮ সদস্যদের । সরকার এ সকল হতদরিদ্র ও ভূমিহীনদের বাড়ি করে দিচ্ছেন । অসহায় হত দরিদ্র ভ্যানচালক মোঃ মফিজুল ইসলাম স্থানীয় প্রশাসন সহ সমাজের দানশীল বিত্তবানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তাঁর ঘর নির্মান সহ সার্বিক সহযোগিতার জন্য। নিরুপায় ভ্যানচালক ৫ সন্তানের জনক মফিজুলের যারা ঘরনির্মাণ সহ অার্থিক অনুদান দিতে চান তারা
01854-235742 নং মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে পারেন।
Design and developed by zahidit.com