ঢাকা ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:২৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০১৯
দাউদ হোসেন,মহেশপুর,(ঝিনাইদহ)থেকেঃ ভূমি দস্যুদের দ্বারা দখল হযে যাচ্ছে মহেশপুরের কপোতাক্ষ নদ।
কপোতাক্ষনদ ঝিনাইদহ জেলার একটি উল্লেখযোগ্য নদ। এই নদটি পদ্মা থেকে গড়াই, গড়াই থেকে ভৈরব ও মাথাভাঙ্গা থেকে কপোতাক্ষ নদের উৎপত্তি। কুষ্টিয়া থেকে চুয়াডাঙ্গা হয়ে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরে প্রবেশ করেছে নদটি এখন মৃত প্রায়। জীবননগর থানার বকুন্ডিয়া, মারুফদা কোল ঘেষে মহেশপুর উপজেলার পুরন্দপুর, খালিশপুর,সাড়াতলা, কদমতলা, ফতেপুর, বেগমপুর, বুচিতলা, ভালাইপুর, সুন্দরপুর, কোটচাঁদপুর হয়ে যশোর জেলার চৌগাছা, ঝিকরগাছা, কেশবপুর, সাগরদাড়ি চলে গেছে। মাইকেল মধুসুদন দত্তের জন্মস্থান সাগরদাড়ি। কবি নদের কথা স্বরন করেন ফ্রান্সের ভার্সই নগরে বসে কপোতাক্ষ নদ কবিতাটি লেখেন। সতত হে নদ, তুমি পড় মোর মনে।
কবির লেখা কবিতা মানুষকে মনে করিয়ে দেয় কপোতাক্ষ নদ যুগ যুগ ধরে আমাদেরকে কি উপকার করছে। স্বচ্ছ পানির নদটি এখন মৃত প্রায়। নদীটি খালিশপুর বাজারের দুই ধারে, মহেশপুর পৌরসভার অংশে দুই ধারে ভূমি দস্যুদের দ্বারা দখল হয়ে গেছে।
সম্প্রতি হাই কোর্টের এক নির্দেশনায় প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের স্ব স্ব অধিক্ষেত্রে নদীর অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরী করে তা পত্রিকায় প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন। নদ-নদী দখলকে অপরাধ হিসেবে ঘোষনা করে সাজা-জরিমানা নির্ধারন করা অভিযোগ দায়ের পদ্ধতি সহ ইত্যাদি নদী কমিশন আইনে অন্তর্ভুক্ত করে ৬ মাসের মধ্যে তা আদালতে দাখিল সহ অনেক নির্দেশনা দিয়েছে। বর্তমানে মহেশপুরে নদী দখল করে চলছে কৃষি আবাদ, পুকুর খনন, ঘর-বড়ী নির্মান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। এ সকল দখলদাররা যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তখন তাদের ছত্রছায়ায় থাকে। এক শ্রেনীর রাজনৈতিক নেতারা পৃষ্টপোষক হিসেবে কাজ করে। ফলে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে অনীহা দেখায়। স্থানীয় সচেতন মহল দাবী জানিয়েছে যেহেতু সরকার অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আন্তরিক ও হাই কোর্টের নির্দেশনা রয়েছে সে ক্ষেত্রে শুষ্ক মৌসুমে দ্রুত নদী কমিশনের আইন অনুযায়ী জরিপ চালিয়ে নদীর জায়গা উদ্ধার করে ক্ষনন করে পূর্বের যৌবন ফিরিয়ে আনা। একসময় এই কপোতাক্ষ নদ দিয়ে এলাকার মানুষ বিভিন্ন পন্য কলকাতায় রপ্তানী করতো। ব্রিটিশ আমলে জগেশ এবং পরেশ নামে ২টি লঞ্চ কলকাতায় যাতায়াত করতো। সে সময় এ এলাকায় উৎপাদিত খেজুরের গুড়ের চিনি বনিকরা সংগ্রহ করে কলকাতা দিয়ে লন্ডলে নিয়ে যেতো। মহেশপুর সহ এ অঞ্চলের মানুষ বর্তমান সরকারের কাছে অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করে পনঃ খননের জোর দাবী জানিয়েছে।
Design and developed by zahidit.com