সৌদি আরবের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে অবশেষে দেশে ফিরে এলো গার্মেন্স কর্মী চামেলী, বল্লেন নতুনভাবে জীবন ফিরে পেলাম

প্রকাশিত: ১:৫৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৪, ২০১৭

সৌদি আরবের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে অবশেষে দেশে ফিরে এলো গার্মেন্স কর্মী চামেলী, বল্লেন নতুনভাবে জীবন ফিরে পেলাম

মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধিঃ মহেশপুর উপজেলার আজিবাড়ী নওদা গ্রামের মোশারেফ হোসেনের পুত্র করিম আলী এবং একই গ্রামের সালমা খাতুন ও ঢাকার বনানীর রিক্রুটিং এজেন্সির দালাল আব্দুল হালিমের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে পাচার হয়ে যাওয়া গার্মেন্টস কর্মী অবশেষে মানবাধিকার সংগঠন ও সরকারের সহযোগিতায় সৌদি আরবে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে শনিবার দেশে ফিরে এসেছে। দেশে ফিরে জানায় সে নির্যাতনের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলো।
পরিবার ও মানবাধিকার সংগঠন আরডিসি সূত্রে জানা গেছে, ১২ আগস্ট দেশে ফিরে চামেলী খাতুন জানায় সে নতুনভাবে জীবন ফিরে পেলো। সৌদি আরবে গৃহ কর্মীর কাজ দেওয়ার নাম করে নিয়ে যেয়ে দেশী-বিদেশী একটি চক্র একটি ভবনে আটকে রেখে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়েছে যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয় বলে সে জানিয়েছে। সে জানায় ঐ দেশে যেয়ে সে ৩ বার বিক্রি হয়েছে। সর্বশেষ যেখানে অবস্থান ছিল সেখানে তারা ৯ জন মহিলা ছিল। এরমধ্যে ভারত, বাংলাদেশ, ফিলিপাইন নাগরিক ছিল। সাহসী এই নারী তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলায় কর্মরত মানবাধিকার সংগঠন আরডিসির নির্বাহী প্রধানের কাছে মোবাইলের মাধ্যমে তথ্যাদি প্রেরণ করলে উক্ত সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র, রাইটস যশোর, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে এ সকল ঘটনা ই-মেইলের মাধ্যমে জানালে তারা পরবর্তী পদক্ষেপ নিলে বাংলাদেশের ৩ জন নারীর মধ্যে চামেলী ও শিরিনা নামে ২ জন ফেরত আসে। অপর মহিলা রুনা অজ্ঞাত স্থানে রয়ে যায়। এই প্রতিবেদকের কাছে চামেলী জানায় রুনাকে এতো বেশী পরিমানে নির্যাতন করা হয়েছে সে বেঁচে আছে কিনা তাদের সন্দেহ লাগে।
মানবাধিকা সংগঠন আরডিসির নির্বাহী প্রধান আব্দুর রহমান জানায় গত ২০ দিন ধরে তাদেরকে উদ্ধারের জন্য নানাভাবে চেষ্টা করা হয়েছে। সবশেষ সরকার ও বেসরকারী সংস্থার মাধ্যমে তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে কাগজপত্র না পাঠানো হয়তো তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হতো না।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ