ঢাকা ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৩৯ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৪, ২০১৭
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:ভোরের বিডি ২৪ ডট কম: একসময় উপজেলার বিস্তীর্ন এলাকা জুড়ে নারকেল গাছে টিয়া পাখিতে ভরপুর ছিল। নিশি হলে অনেকে নারকেল গাছে উঠে ধরত টিয়া পাখি এবং খাচায় রেখে তা পুষতো। সঠিক ট্রেনিংপ্রাপ্ত গৃহস্থের দ্বারা এই পাখি অনেক বুলি শিখতো। বর্তমানে উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সর্বত্র কালের স্বাক্ষী টিয়া পাখি বিলুপ্তির পথে।
কিচির মিচির শব্দে ভোর হতেই ঘুম ভেঙ্গে যেত এলাকার মানুষের। কৃষিপ্রধান এলাকা হওয়ায় কৃষকরা পাখিদের গুঞ্জরনে ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথেই হাল গরু নিয়ে ছুটতো ক্ষেত খামারে।
দোয়েল, সারস, চড়–ই, টিয়া, শালিক, টুনটুনি, বাবুই সহ নানা রকম পাখির সমাগমে মুখরিত থাকত এসব এলাকার বিস্তীর্ন অঞ্চল। এর মধ্যে টিয়া পাখি উল্লেখযোগ্য।কালের স্বাক্ষী টিয়া পাখি আজ আর তেমন চোখে পড়ে না। আমাদের চেনা জানা পাখিগুলোর মধ্যে টিয়া পাখি আজ আমরা হারাতে বসেছি। ধান, গম, পাটসহ বিভিন্ন ফসলাদি চাষক্ষেত্রে টিয়া পাখি একধরনের কৃষকদের প্রিয় বন্ধু ও খুবই উপকারী হিসেবে স্বীকৃত।
ফসলের পোকামাকড় দমন করতে টিয়া পাখি বিশেষ ভুমিকা পালন করত। আধুনিক যুগে ফসলের পোকামাকড় দমনে কীটনাশকসহ নানান ধরনের ঔষধ স্প্রে করছে ফলে পোকামাকড় না থাকায় কোনো টিয়া পাখি পরিলক্ষিতি হয় না। সেই সাথে টিয়া পাখি আজ বিলুপ্তির পথে। কৃষকবন্ধু এই পাখিটি বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য হাতে হাত রেখে একতা হওয়ার আহবান জানিয়েছেন এলাকার সচেতন ব্যাক্তিবর্গ।
Design and developed by zahidit.com