ব্রিটিশ শাসনমলে নড়াইল জমিদারদের প্রভাবে ইংরেজ নীল কুঠিয়াল সাহেবরা ঝিনাইদহ এবং এর আশেপাশে কোনো মুসলিম গোরস্থান করার বিরোধীতা করেন। তবে নীল ব্যবসায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ইংরেজ নীলকর সাহেসরা এদেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। এ জেলার শেষ নীলকর কুঠিয়াল ১৮৯৫ সালে চলে যান। তার পর থেকে ঝিনাইদহ শহরে ক্রমান্বয়ে মুসলিম সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং সে সময় গোরস্থানের অপ্রয়োজনিয়তা অনুভব করে মুসলিম সম্প্রদায়। তকন ঝিনাইদহ ছিল ইউনিয়ন বোর্ডের আওয়াতাভুক্ত।
১৯২৮ সালে এই ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্টের নামেই প্রথম গোরস্থানের জাইগা ক্রয় করা হয়।
১৯২০ সালে খেলাফত আন্দোলনে মুসলিমদের মধ্যে কিছুটা জাগরন দেখা দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯২৮ সালে ঝিনাইদহে এই গোরস্থানের কার্যকলাপ চালু হয় বলে ধারনা করা হয়।
প্রথমে বাঁশের বেড়াদিয়ে ঘেরা হয়, পরে পৌরসভা আংশিকভাবে ইটের প্রাচীর দেয় বিভিন্ন সময়ে।সে সময় তিনটি দলিলের মাধ্যমে গোরস্থানের ২. ২৬ একর জমি ক্রয় করা হয়। দলিল ৩টি ঝিনাইদহ পৌরসভায় সংরক্ষিত আছে।
ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট কছিম উদ্দীন মিয়া প্রথমে গোরস্থানের চারপাশে নিচু করে ইটের প্রচীর দেন। পরবর্তিতে ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হলে , তৎপর ১৯৭৪ সালে ঝিনাইদহের পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হন কাঞ্চননগরের অ্যাড. আমির হোসেন মালিতা। তার সময়ে গোরস্থানের প্রচীর কিছুটা উচু হয় এবং দক্ষিনে প্রবেশ পথে লাশ রাখার ঘর নির্মান করা হয়।এ সময় গোরস্থানের মাঝে খুটি বসিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সহ গোরস্থানের ভেতরে যাতায়াতের জন্য ইটের হ্যারিং রাস্তা করা হয় । এর পর গোরস্থানের গেটে টাইলস বসানো সহ অন্যান্য সকল কাজের উন্নয়ন ঘটে বর্তমান পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুর এবং সাবেক সদর সাংসদ সদস্য অপু সাহেবের আমলে । গোরস্থানটি বর্তমান নতুন রুপ, প্রাচীরের স্থাপত্যশৈলী বেশ আকর্ষনীয় ।