মহেশপুরে সাধারণ মানুষের গলা কেঁটে কোটিপতি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী

প্রকাশিত: ৩:৪৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০১৭

মহেশপুরে সাধারণ মানুষের গলা কেঁটে কোটিপতি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী

শামীম খান ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ঃ জেলার সীমান্ত বর্তী উপজেলা মহেশপুর এ উপজেলায় সাড়ে চার লাখ মানুষের বাস। এক তৃতীংশ মানুষ কৃর্ষির উপর নির্ভরশীল ,সরল সোজা সাধারণ মানুষ তারা। সে সুজক টাকে কাজে লাগিয়ে তাদেরকে জিম্মি করে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির শোষনের মতো শোষন করে অবৈধ্য ভাবে কোটিপতি হয়ে যাচ্ছেন দূর্নীতির স্বর্গরাজ্যে মহেশপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী ও মহেশপুর একতা দলিল লেখক নামের ভূয়া সমিতির কতিপয় দলিল লেখকরা। ওই অফিসের সকলেই বিভিন্ন নিয়ম কানুন ও ভুয়া খাত দেখিয়ে এবং দলিল লেখক সমিতির নাম ভাঙ্গিয়ে ভূমি ক্রেতাদের নিকট থেকে অবৈধ্য ভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সূত্রে জানা যায়, ১লাখ টাকার দলিল প্রতি ঘূষ তো আছেই, আবার কারো খারিজ কপি না থাকলে ৪ হাজার টাকা দিলেই হয়ে যায়, তাছারা হেবানামা দলিলে ২হাজার টাকা, মূল রেকড না থাকলে সাড়ে ৩শ টাকা, তহশিলদারের কপি হলে ৬শ টাকা, জমির শ্রেণী পরিবর্তন করতে সাড়ে ৫ হাজার টাকা ঘুষ দিলে সমস্ত কাজ হয়ে যায়। এ সমস্ত কাজ করে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী ও দলিল লেখকরা সরল সোজা মানুষদের গলা কেটে অবৈধ্য ভাবে কোটিপতি হচ্ছেন। দূর্নীতি বাজদের নয়-ছয়ের কারণে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগস্থ হচ্ছে সাধারণ মানুষ। আর লক্ষলক্ষ টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। দীর্ঘদিন যাবত মহেশপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এ ধরণের দূর্নীতি চলতে থাকলেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ যে কোন কারন বসত দূর্নীতি বাজদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছে না। নাম অপ্রকাশে কয়েক জন দলিল লেখক বলেন, ভূমি ক্রয়-বিক্রয় কারিরা তাদের প্রয়োজনে তারা ঘুষ দিয়ে থাকে। সাব-রেজিস্ট্রি অফিস অথবা দলিল লেখকরা তাদের কাছ থেকে জোর করে কোন টাকা পয়সা নেয় না। মহেশপুর একতা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেনের সাথে ০১৭২৫৪৫২৩১৬ যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সরকারী নিয়মানুযায়ী সমিতির দলিল লেখকরা জমির দলিল রেজিস্ট্রি করেন। কিন্তু কিছু সার্থ ভোগী লোক সমিতির ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। মহেশপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসারের নাম্বার চাইতে অফিসের বড় বাবুর সাথে ০১৭১২৪৩৬০৫২ যোগাযোগ করলে তিনি বলেন , স্যারের নাম্বার আমার কাছে নাই। তিনি আরও বলেন নাম্বার পেতে হলে তরিকুলের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। যে কিনা অফিসের সর্ব নিন্ম পদের একজন কর্মচারী । মহেশপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসার শফিকুল ইসলাম সাথে যোগাযোগের চেষ্টায় কারো কাছে তার মোবাইল নাম্বারটি পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের বিষয়ে তার কিছু জানা নাই। যদি কেউ তার কাছে লিখিত অভিযোগ করে তাহলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ