মহেশপুরের জোকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দূর্ণীতির অভিযোগ

প্রকাশিত: ৮:০৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৫, ২০২২

মহেশপুরের জোকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দূর্ণীতির অভিযোগ

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহের মহেশপুর ৪৪ নং জোকা সরকারি প্রাথমীক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি দমন কমিশনে দূর্ণীতিও স্বেচ্চাচারিতার অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা।
উপজেলার মান্দারবাড়িয়া ইউনিয়নের ৪৪ নং জোকা সরকারি প্রাথমীক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান প্রায় ১৩ বছর এ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। যার কারনে তিনি কোন কিছুরই পরোয়া করেননা। তিনি প্রতিষ্ঠানটিকে বাপের সম্পতি মনে করে সরকারি নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে নিজের ইচ্ছামত রামরাজত্ব কায়েম করে চলেছেন।
দূর্ণীতি দমন কমিশন বরাবর এক লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ২০০৯ সালের পহেলা জুন বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে তিনি এসব দুর্ণীতি করে আসছেন। বিগত বছর যাবত প্রায় প্রতিটি এসএমসি সদস্যবৃন্দের সাথে তার একাধিকবার বিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য কারনে তিনি অত্র প্রতিষ্ঠানে বহাল তবিয়তে অবস্থান করে দূর্নীতি করে যাচ্ছেন। বর্তমান সভাপতি ইসমাইল হোসেন হিসাব নিতে গেলে তার সাথে দূর্ব্যবহার করেন এবং হিসাব নিকাশ দিতে অস্বিকৃতি জানালে সভাপতি ও সকল সদস্যদের সাথে তার দুরত্ব বাড়তে থাকে।
সাবেক সভাপতি ইসরাইল হোসেন জানান, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে সরকার প্রদত্ত রুটিন মেরামত বাবদ ৪০ হাজার, প্রাক-প্রাথমিকে বরাদ্দ ১০ হাজার, স্লিপ বাবদ ৫০ হাজার, বিদ্যালয়ের অঙ্গিনা থেকে টেন্ডার বিহিন বাবলা গাছ বিক্রয় বাবদ ১৫ হাজর মোট ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা বিদ্যালয়ে কোন কাজ না করে প্রধান শিক্ষ মতিয়ার রহমান নিজে আত্মসাৎ করেছেন। ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বিভিন্ন সরকারি বরাদ্দকৃত ১ লক্ষ টাকা ব্যায়ের জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি কমিটি তৈরি করে দেওয়া সত্তেও প্রধান শিক্ষ নিজে খরচ করবেন মর্মে বর্তমান সভাপতি ইসমাইল হোসেনের স্বাক্ষর জাল করে প্রতারনার মাধ্যমে নিজের অনুকুলে একটি রেজুলেশন তৈরী করেন। সভাপতি ইসমাইল হোসেন বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানালেও তিনি কোন পদক্ষেপ নেন নি। অভিযোগে আরো জানাযায়, বিদ্যালয়ের পুরাতন ৪ কক্ষ বিশিষ্ঠ ভবনের জানালা, দরজা, ঢেউটিন, ইট ও লোহার এংগেল এসএমসি সদস্যদের না জানিয়ে ইচ্ছেমত বিক্রয় করে নিজে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও এলাকাবাসী বলেন দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের খুটির জোর কোথায়। দুরুত তদন্তপূর্ব তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হোক।
এ ব্যাপরে প্রধান শিক্ষ মতিয়ার রহমানের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব অভিযোগ সঠিকনা ভিত্তিহীন।
এ ব্যাপরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু হাসান বলেন, ৪৪ নং জোকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে যায় এবং তিনি ২ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত শেষ হয়েছে। আমরা তদন্ত রিপোটের অপেক্ষায় আছি। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যাবস্থা নেব।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ