ফারজানা আক্তার মিতু নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মিতু ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নোঙরপুর গ্রামের মিয়া রাজের মেয়ে ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের ওহেদ আলীর ছেলে সজল মোল্লার স্ত্রী।
স্বজনদের অভিযোগ, নিজ মা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামে মিতুর নানাবাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে। তার লাশ পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। দাদা হাসান আলী বিশ্বাস ও শ্বশুর ওহেদ মোল্লা জানান, মিতুর মা বিউটি বেগমের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তার আগের ঘরের একটি মেয়ে আছে। ওই মেয়েকে সে এ পর্যন্ত পাঁচবার বিয়ে দিয়েছে। প্রত্যেক জামাই পক্ষের কাছ থেকে এ পর্যন্ত কাবিনের অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রায় আট মাস আগে মিতুর মা বিউটি বেগম গোপনে সজলের সঙ্গে মিতুর বিয়ে দেয়। বিয়ের সময় দেড় লাখ টাকার কাবিন করা হয়। দুজনের দাম্পত্য জীবন খুব ভাল কাটলেও মিতুর মা কৌশলে তাদের আলাদা করার চেষ্টা করে। রাজি না হওয়ায় বিউটি বেগম মেয়ে মিতুর শ্বশুর বাড়ি গিয়ে তাকে নিয়ে তার নানাবাড়ি আসে। সেখানে মিতুকে তার স্বামীর সংসার ভাঙতে চাপ দেয়। মিতু রাজি না হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার সকালে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে লাশের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।