ঝিনাইদহে খুচরা বাজারে মোটা চাল ৫০ টাকা ও চিকন চাল ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, চালের বাজারে অস্থিরতা

প্রকাশিত: ৩:৩৫ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭

ঝিনাইদহে খুচরা বাজারে মোটা চাল ৫০ টাকা ও চিকন চাল ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে,  চালের বাজারে অস্থিরতা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
খাদ্য উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে পরিচিত ঝিনাইদহে চালের অস্থির বাজারে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও মধ্যবিত্তদের নাভিশ্বাস উঠেছে। ঝিনাইদহে খুচরা বাজারে মোটা চাল ৫০ টাকা ও চিকন চাল ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ধান ও চালের কোন সংকট না থাকলেও ক্রমাগত দাম বৃদ্ধির কারণে হাফিয়ে উঠেছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। অনেক দিনমজুর সারাদিন কাজ করে ২ কেজি মোটা চালও তাদের ভাগ্যে জুটছে না। এমন কথায় জানালেন সাধূহাটী এলাকার ভ্যান চালক আবেদ আলী বেহারা।
তিনি জানান, সারাদিন ভ্যান চালিয়ে চাল, ডাল, তেল ও তরিতরকারী কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। ঝিনাইদহ শহরের কলাবাগান পাড়ার কাপড় ব্যবসায়ী বিদ্যুৎ হোসেন বলেন, দোকানে সারাদিন ২শ টাকাও ইনকাম নেই। বেচাকেনা কমে গেছে। তাই এখন তিন বেলার পরিবর্তে ২ বেলা ভাত খাচ্ছি। মধ্য আয়ের চাকরীজীবীরাও জানালেন একই কথা। তাদের ভাষ্য চালের দাম সহনীয় পর্যায় না আসলে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এ অবস্থায় ঝিনাইদহের চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন ২/১ দিনের মধ্যে চালের বাজার স্থিতিশীল হয়ে যাবে।
শৈলকুপার ভাটই বাজার এলাকার প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদার গোলাপ মেম্বর অভিযোগ করেন, সরকার সমর্থিক কিছু চাল ব্যবসায়ীর কারসাজিতে ঝিনাইদহে চালের বাজার অস্থির হয়েছে। এদিকে রোববার ঝিনাইদহের চাল বাজার পরিদর্শন করে জানা গেছে মিল থেকে মিনিকেট চাল ৫৩ টাকা কেজি কিনে পাইকারি বাজারে ৫৬ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এরপর খুচরা বাজারে সেই চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি।
একইভাবে মধ্যম চিকন চাল ৫২ টাকা থেকে ৫৮ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। আর বাশমতি চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ টাকা। তবে ঝিনাইদহের বাজার থেকে মোটা চাল উধাও হয়ে গেছে। চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন গত আবাদ মৌসুমে মোটা ধানের আবাদ হয়নি, তাই বাজারে মোটা চাল নেই।

এদিকে ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শংকর কুমার মজুমদার জানান, ঝিনাইদহ জেলার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৭২৬ মেট্রিক টন ধান উদ্বৃত্ত থাকে। এখানে তো চালের সংকট হওয়ার কথা নয়। তিনি বলেন ঝিনাইদহ জেলায় প্রতি বছর ৭ লাখ ৬১ হাজার ৩৪৮ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়। আর জেলার চাহিদা হচ্ছে ৩ লাখ ৭১ হাজার ৬২২ মেট্রিক টন। বাকীটা উদ্বৃত্ত থাকে। চলতি আমন মৌসুমে ৯৯ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। এতে প্রায় ২ লাখ ৫৯ হাজার ১৪১ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে বলে শংকর কুমার মজুমদার জানান।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ