ঝিনাইদহে পাটের দরপতনে লোকসানে চাষী

প্রকাশিত: ১:২২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৫, ২০১৯

ঝিনাইদহে পাটের দরপতনে লোকসানে চাষী

এম রবিউল ইসলাম রবি-
চলতি মৌসুমে এবার ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। ফলন ভালো হলেও পাটের দরপতনে লোকসানে চাষীরা। জেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে গিয়ে দেখা যায় ১৪’শ থেকে ১৬’শ টাকা মন দরে পাট বিক্রি হচ্ছে। ২ সপ্তাহের ব্যবধানে এমন দরপতন বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, এ বছর জেলার ৬ উপজেলায় ২০ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ২ হাজার হেক্টর বেশি। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৪ হাজার ৯০০, কালীগঞ্জে ১ হাজার ৩৪০, কোটচাঁদপুরে ৬৫০, মহেশপুরে ৩ হাজার ১৫০, শৈলকুপায় ৭ হাজার ১৩৫ ও হরিণাকুন্ডুতে ৩ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের কৃষক রুহুল আমিন বলেন, নতুন পাট উঠার পর প্রতি মন ১৮’শ টাকা থেকে সাড়ে ২ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। এখন দাম প্রতি মনে প্রায় ৪’শ থেকে সাড়ে ৪’শ টাকা কমে গেছে। বর্তমানে পাট মন প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৪’শ টাকা থেকে ১৬’শ টাকা দরে।


সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কৃষক মফিদুল ইসলাম বলেন, গত ২ সপ্তাহের ব্যবধানে পাটের দাম কমে গেছে। শুরুতে পাটের দাম ভালো ছিল। কিন্তু হটাৎ করেই দাম কমে যাওয়ায় লোকসানের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
একই উপজেলার নারিকেলবাড়ীয় গ্রামের কৃষক লিল্টন বলেন, এ বছর তিনি ৪ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছিলেন। বৃষ্টিপাত কম হওয়া আর নদী বা জলাশয়ে পানি না থাকার কারণে জমি থেকে দুরবর্তী স্থানে গিয়ে পাট জাগ দিতে হয়েছে। এতে খরচ বেড়ে গেছে। কিন্তু এখন পাটের যা দাম তাতে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ জি এম আব্দুর রউফ বলেন, যাদের পাট আগে উঠেছিল তারা দাম ভালো হয়েচে। পাটের আমদানি বাড়ার পর দাম কমে গেছে। কৃষি বিভাগ শুধু উৎপাদন নিয়ে কাজ করে। বাজারতাজ করণের তাদের কিছু করনীয় নেই। এ ব্যাপারে কৃষকদের কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন খরচ কম করানোর পরামর্শ দেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ