প্রেম কুমার (২৩) বজ্রপাতে মারা গেছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়েছিল চারদিকে। তার বাড়িতে চলছিল প্রতিবেশি আর স্বজনদের আহাজারি। বিকেলে প্রেম কুমারকে দাহ করার জন্যে শ্বশানেও নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হঠাৎ নড়ে ওঠে প্রেম কুমার। এমন ঘটনা ঘটে সোমবার ঝিনাইদহ শিকারপুর গ্রামে । প্রেম কুমার ঝিনাইদহ নারিকেল বাড়িয়া কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল ।
এরপর শ্বশান ঘাট থেকে তড়িঘড়ি করে প্রেম কুমারকে নিয়ে আসা হয় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সে বেঁচে আছে এমন খবরে সাড়া পড়ে যায় চারদিকে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এম এ কাফি তাকে মৃত ঘোষণা করেন।তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে নিয়ে আসার কিছুক্ষণ আগে সে মারা গেছে। প্রেম কুমার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দক্ষিণ শিকারপুর গ্রামের মৃত রতন কুমারের ছেলে।’সোমবার দুপুরে মাঠে কাজ করতে গেলে বজ্রপাতে সে আহত হয়। সবাই ভাবে সে মারা গেছে। কিন্তু শ্বশানে নিয়ে গেলে হঠাৎ সে নড়ে ওঠে ও তার শরীর থেকে ঘাম বের হতে থাকে।
শিকারপুর গ্রামের রনজিত কুমার জানায়, দুপুরের দিকে বজ্রপাতে প্রেম কুমার আহত হয়। মারা গেছে এমন ভেবে তাকে শ্বশান ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্যে। কিন্তু হঠাৎ সে নড়ে ওঠে ও শরীর দিয়ে ঘাম বের হয়।তিনি আরো জানান, আগে থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সে হয়ত বেঁচে যেতো।