শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে পঙ্গু হলো ভার্সিটির ছাত্র!

প্রকাশিত: ৩:৫৬ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭

শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে পঙ্গু হলো ভার্সিটির ছাত্র!

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান মো. আশরাফুল ঈদ খরচের টাকা জোগাড় করার জন্য শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে গেছেন। পা ভেঙে তিনি এখন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরিবারটি এতটাই হতদরিদ্র যে টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না। এসব কথা জানালেন তার দরিদ্র পিতা মো. ছানোয়ার হোসেন।

 

হরিণাকুণ্ডু উপজেলার জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের মেধাবী ছাত্র আশরাফুল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান ৩য় বর্ষে ইংরেজিতে পড়াশোনা করেন। টিউশনি এমনকি মাঝেমধ্যে শ্রমিকের কাজ করে একদিকে পড়াশোনা অপরদিকে সংসারে দরিদ্র পিতাকে সাহায্য করছিলেন। গত ২৭শে আগস্ট ঈদুল আজহার ছুটিতে আশরাফুল বাড়িতে আসেন। ভেবেছিল ছুটির কয়দিন কাজ করে ৬-৭ হাজার টাকা হবে। কিছু ইদের ও পড়ার খরচ জোগাড় করার জন্য পরদিন ২৮শে আগস্ট সকালে সে রাজমিস্ত্রির সঙ্গে ট্রলিতে দৈনিক ৫০০ টাকা মজুরিতে ঢালাই কাজে কুষ্টিয়ার হরিনারায়ণপুর যাচ্ছিল।

 

পথিমধ্যে কুষ্টিয়ার বাগচড়া নামক স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রলি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে খাদের মধ্যে পড়ে যায়। সড়ক দুর্ঘটনায় আশরাফুলের বাম পা ভেঙে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশরাফুলের পিতার আগে চায়ের দোকান ছিল। তাই দিয়ে কোনো রকমে সংসার চলতো। পিতা ছানোয়ার হোসেন বৃদ্ধ হওয়ায় এখন কিছুই করতে পারেন না। ডাক্তার বলেছেন হাড় টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়ায় অপারেশন করতে হবে। সবকিছু মিলে প্রায় এক লাখ টাকা দরকার। এই টাকা জোগাড় করে চিকিৎসা করানোর মতো কোনো অবস্থা নেই আশরাফুলের পরিবারের। কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি যদি সাহায্যের হাত বাড়ান তবেই মেধাবী ছাত্র আশরাফুল পঙ্গুত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়ে লেখাপড়া শেষ করতে পারবে।

 

আর্থিক সহায়তার জন্য বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক হরিণাকুণ্ডু শাখা সঞ্চয় হিসাব নং ৪৪১৭ অথবা বিকাশ নং ০১৭১৯২৬৭৪১০ নাম্বারে দানশীল ব্যক্তিরা টাকা পাঠাতে পারেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ