টিপু সুলতান ঃ
ঝিনাইদহ মহেশপুর উপজেলায় এক স্কুল ছাত্রীকে আখ ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মহেশপুর থানায় মামলাটি করেন মেয়েটির বাবা। এঘটনায় সাকিব হোসেন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার বজরাপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে ও ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
মামলার অন্য দুই আসামি হলো, মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর গ্রামের মিঠু বিশ্বাসের ছেলে রোকন (২০) ও মিজান (২২) নামে আরেক তরুণ। মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর গ্রামের মিঠু বিশ্বাসের ছেলে রোকনের (২০) সঙ্গে জীবননগর উপজেলার হাসাদহ গ্রামের নবম শ্রেনী পড়ুয়া একটি মেয়ের মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
ঈদের দিন সকালে স্কুল পড়ুয়া ওই মেয়েটি ও তার ছোট বোন মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর গ্রামে ফুফু বাড়ি যাওয়ার জন্য হাসাদহ বাজারে আসে। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা রোকন ও তার চার সহযোগী বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয় তাদের। এক পর্যায়ে রোকন ও তার চার বন্ধু তাদের ফুফু বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তার ছোট বোন ও তাকে নিয়ে যায়। পথে মহেশপুরের কাকিলাদাঁড়ি এলাকায় গাড়ি থেকে নামায় তাদের। এরপর কাকিলাদাঁড়ি মাঠের ভেতরে আখ ক্ষেতের মাঝে তৈরি করা ঝুপড়িতে নিয়ে যায় বড় বোনকে। আর ছোট বোনটিকে রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখে। আখ ক্ষেতের ঝুপড়িতে বড় বোনকে জোর ধর্ষণচেষ্টার সময় সে চিৎকার করে। চিৎকার শুনে পাশের ক্ষেতে কাজ করা কৃষকরা মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এসময় ধর্ষণের চেষ্টাকারী রোকন ও তার সহযোগী চার বন্ধু পালিয়ে যায়।
বিষয়টি স্থানীয় ভাবে বেশ কয়েকবার মীমাংসা করার জন্য শালিস বৈঠক হয়। অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করাও হয় বলে অভিযোগ।অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে মেয়ের বাবা থানায় গিয়ে মামলা করেন ।মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ কবীর জানান, এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে রোকন ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর ৮। মামলার আসামি সাকিবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেপতারের চেষ্টা চলছে।