বাংলা চলচ্চিত্রের বরপুত্র আমাদের সালমান শাহ্।
৯০দশকের শুরুর দিকে সালমানের উত্থান ।সবচেয়ে আলোচিত, সবচেয়ে সুদর্শন নায়ক ছিল ঢাকাই ছবির এই যুবরাজ ।বাংলা চলচ্চিত্রের সর্বকালের সেরা ৫টি ব্যবসা সফল ছবির তিনটিই সালমানের দখলে।সেই সালমান শাহ হত্যার কোন সুষ্ঠ তদন্ত হবে না তা আসলেই এই বাংলাদেশের জন্য লজ্জার, সরকারের জন্য লজ্জার, বাঙালি জাতির জন্য লজ্জার ।আমরা আসলে জীবিত অবস্থায় তো কাউকে সম্মান দিতে পারিই না, মৃত্যুর পরো আমরা কাউকে সম্মান দিতে পারি না।১৪ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি জারজরা বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করে আমাদের একটি রাস্তা দিয়ে গেছে দেশকে তিলে তিলে ডুবিয়ে ফেলার আর তা হলো যতো গুণী জন্মাবে তাকে মেরে ফেলো নতুবা বিতর্কিত করে দাও ।বাংলা চলচ্চিত্র এতিম হয়েছিল জহির রায়হান, শহীদুল্লাহ কায়সার, খান আতাউর রহমানরা চলে যাওয়ার পরই।সে ভেঙ্গে পড়া চলচ্চিত্র একা কাধেঁ উঠিয়ে নিয়ে চলছিল নতুন এক গন্তব্যের দিকে।হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে স্টাইলিশ আইকন।তাকেও থাকতে দেয়া হয়নাই।যদি থাকতো তাহলে হয়তো আমরা বলিউডকে বৃদ্ধাঙুলি প্রদর্শন করে বলতে পারতাম তোমাদের যদি শাহরুখ, সালমান, আমির থাকে তাহলে আমাদের শুধু আছে সালমান শাহ যাকে তোমাদের তিন খানই নকল করেছে (দেখে করেছে না দেখে করেছে) ক্ষেত্র বিশেষে।
মৃত্যুর একুশ বছর পরেও যে নায়ক জীবিত, সে যে কোন নায়কের চেয়ে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে সেই নায়কের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত এবং বিচার একজন সালমান শাহ ভক্ত হিসেবে সরকারের কাছে দাবী করতেই পারি।
আজ ৬ সেপ্টেম্বর সেই প্রিয় নায়কের প্রয়ান দিবস ” আজকের এই দিনে মহা নায়কের জন্য গভীর শোকাহত ও অন্তর থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলী জানিয়ে উনার পরোকালে শান্তি কামনা করি।