ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের ডাঃ ফাল্গুনী সাহার দুর্ব্যবহার অতিষ্ঠ ঝিনাইদহ বাসী তার নিকট থেকে রেহায় পাচ্ছেনা সাংবাদিক ও

প্রকাশিত: ৩:১৫ অপরাহ্ণ, মে ৩১, ২০১৮

মোঃ পল্লব মিয়া =

রোজ মঙ্গলবার ৩১ মে সকাল ১১ টা ৪৫ মিনিটে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চন নগরের বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের ছেলে সোহান(২২) নামে একটি ছেলে গুরুত্বর আহত জরুরি বিভাগে আসে । এই সময়ে তাকে জরুরি বিভাগ থেকে অপরেশ থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে রুগির সাথে থাকা একটি ছেলে ডাঃ ফাল্গুনী সাহার পিছন থেকে কাঁধে হাতে দিয়ে সরিয়ে দ্রুত টলি টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ডাক্তার হাসপাতালের গলির মধ্যে চিৎকার করে বলতে থাকে “এই রুগীর চিকিৎসা করা হবে না এরা আমার গায়ে হাত দিয়েছে। ঐ রুগী যদি মারা যায় যাক, তাতে আমার নামে মামলা হলেও কিছু আসে যায় না। ওকে কেউ চিকিৎসা করবে না।” এই বলে তার নিজ কক্ষ ১২০ রুমে চলে যায়। এই কথা শুনে যে ছেলে তাকে পিছন থেকে গায়ে হাত দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে সে তার নিকট মাপ চেয়ে বলে যে আমি বুঝতে পারিনি যে আপনি ডাক্তার। ভীষণ ভিড়ের কারনে আমি সাধারন মানুষ ভেবে সরিয়ে দিয়ে টলি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। এই সময়ে ডাঃ ফাল্গুনী সাহার গায়ে ডিউটির এপ্রোন ছিল না।

এই সময়ে উপস্থিত সাংবাদিক ঝিনাইদহ জেলা রিপটারস ইউনিটির সাধারন সম্পাদক সাহিদুল এনাম পল্লব তার রুমে যেয়ে আহত রোগীর চিকিৎসা করার জন্য অনুরোধ করলে সে তখন তার সাথে খুব দুর্ব্যবহার করে রুম থেকে বের করে দেয় এবং বলে যে ঝিনাইদহে রুগী দেখার গুষ্টি কিলাই বলে গালা গালাগালি করতে থাকে। এই ঘটনায় পর সেই রুগী কে ঝিনাইদহে চিকিৎসা না দিয়ে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়।

এই ঘটনার পর হাসপাতালে ছুটে আসে বিভিন্ন সাংবাদিকগন তখন যে তাদের সমানে বলে যে আমি যা করেছি তাহা ঠিক করেছি। আমাকে একজন রেপ করবে আর আপনারা তাকে কিছু বলবেন না। তখন সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করে যে আপনার কোথায় হাত দিয়াছে? তখন বলে পিছনের কাঁধে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে টলি নিয়ে চলে গেছে। তার গায়ে এপ্রোন নেই কেন জিজ্ঞাসা করলে বলে যে আমি তা পরব না। তখন তাকে সাধারন মানুষ কি ভাবে বুঝবে যে সে ডাক্তার। তখন কোন উত্তর না দিয়ে চুপ করে থাকে। উল্লেখ যে উবি প্রায় রুগী এবং রুগীর লোকের সাথে দুর্ব্যবহার করে থাকে। সে কাউকে পরোয়া করে না।  সুযোগ পেলেই বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে রুগী দেখে থাকে। যার কারনে হাসপাতালে আসলে তার হয় গাত্রদাহ।

এই ঘটনা হাসপাতালের সুপারেন্টন ডাঃ আয়ুর আলীর নিকট জানালে যে বলে যে আমি ঘটনাটা জানিনা একজন ডাক্তার এমন করতে পারে না। এইটি কাম্য না।আমি বিষয়টা দেখছি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ