ঝিনাইদহসহ পশ্চিমের জেলাগুলোতে শিলাবৃষ্টিতে আতঙ্কিত কৃষক

প্রকাশিত: ১০:০১ পূর্বাহ্ণ, মে ৮, ২০১৮

পশ্চিমের জেলাগুলোর কোনো কোনো স্থানে ধান কাটা শ্রমিকের দৈনিক মজুরি এক মণ ধান বিক্রির টাকার সমান। প্রায় প্রতিদিনই ঝড় শিলাবৃষ্টি হচ্ছে। আতঙ্কিত কৃষক মাঠ থেকে দ্রুত ধান কেটে বাড়ি আনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এক সঙ্গে চাহিদা বেড়ে যাওয়া কৃষি শ্রমিকের চাহিদা বেড়ে গেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর আঞ্চলিক অফিস সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, যশোর, মাগুরা ও ঝিনাইদহ জেলায় তিন লাখ ৯৪ হাজার হেক্টরে বোরো চাষ হয়েছে। শুরুতে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় চাষ একটু নাবি হয়। তারপর আবহাওয়া অনুকূল হওয়ায় চাষিরা বাম্পার ফলনের আশা করে আসছিল। শেষ মুহূর্তে ফের বৈরি আবহাওয়ার মুখে পড়ে। ৩১ মার্চ মৌসুমের প্রথম ঝড় শিলাবৃষ্টিতে প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমির ধানের ক্ষতি হয়। এপ্রিল মাসের শুরুতে ধান কাটা শুরু হয়। সঙ্গে মাস জুড়ে প্রায় প্রতিদিন ঝড় বৃষ্টি হয়। ঝড়ের ঝাপটায় অনেক স্থানে ধান ক্ষেত মাটিতে লেপটে গেছে। মে মাসেও ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে। কোনো কোনো স্থানে কাটা ধান পানিতে ভাসছে। আবার ঝড় বৃষ্টির ঝাপটায় শীষ থেকে পাকা ধান ঝরে পড়ে। উদ্বিগ্ন চাষি মাঠ থেকে ধান কেটে বাড়ি আনতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সংকট সৃষ্টি হয়েছে ধান কাটা শ্রমিকের। তাদের দৈনিক মজুরি চড়ে হয়েছে সাতশ-আটশ টাকা। এর সঙ্গে তিনবার খাওয়া। বর্তমানে ধানের দাম কমেছে। প্রতিমণ ধান আটশ টাকা থেকে সাড়ে আটশ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একজন শ্রমিকের দৈনিক মজুরি দিতে এক মণ ধান বিক্রির টাকা লাগছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক চন্ডি দাস কুণ্ডু বলেন, এ অঞ্চলের ৭০ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। হেক্টর প্রতি গড় ফলন ছয় টনের বেশি। ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ফলন একটু কম হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ