চাষিরা সবজির বীজ উৎপাদনে ঝুকে পড়ছে

প্রকাশিত: ১:০০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০১৮

চাষিরা সবজির বীজ উৎপাদনে ঝুকে পড়ছে

মনজুর আলম:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের বেড়াশুলা গ্রামের চাষিরা সবজির বীজ উৎপাদনের চাষে দিনদিন ঝুকে পড়ছে। তাদেও উৎপাদিত সবজির বীজ দেশের বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানিসহ দেশের সবজি উৎপাদিত এলাকায় বীূজের চাহিদা বাড়ছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে, অল্প খরচে কম দিনে অধিক লাভবান হওয়ায় এলাকায় কৃষকদের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। চলতি মোসুমেও বীজের উৎপাপদনে বাম্পার ফলন হয়েছে। বীজের দামও ভাল পেয়ে চরম খুশি।

বেড়াশুলা গ্রামের বীজ উৎপাদনকারি চাষি ওয়াসিম জানান, তারা সাধারনত আলতাপেটি জাতের লাল শাকের বীজ উৎপাদন করেন। বাংলা মাঘ মাসে জমি ভাল করে ৩/৪ টি আড়াআড়ি চাষ দিয়ে জমি তৈরির পর বীজ ছিটান। সময় মত সেচ সার ব্যবহার করতে হয়। তাছাড়া অন্যান্য ফসলের তুলনাই এখানে পোকা মাকড়ের আক্রমন কম। আবার যা আক্রমন দেখা দেয় সহজেই দমন করা সম্ভব। তিনি এবছরও তিন বিঘা জমিতে বীজ উৎপাদনের জন্য লাল শাকের চাষ করেছেন বলে জানান।

একই গ্রামের কালিপোতা পাড়ার চাষি ইউনুচ আলি জানান, বিঘা প্রতি জমিতে সাড়ে ৮/৯’ হাজার টাকা খরচ হয়। ফলন ভাল হলে ৬/৭ মন বীজ উৎপাদন হবে। এবছর প্রতিমন বীজ ৪৬/৪৭’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিনি এবছর চার বিঘা জমিতে চাষ করেছেন। এছাড়া একই গ্রামের ইব্রাহিম-১ বিঘা, শাহাজান, মশিয়ার রহমান, আতিয়ার রহমান, আলমগীর হোসেন প্রত্যেকেই দেড় বিঘা করে, আলি হোসেন দু’ বিঘাসহ গ্রামের মাঠে প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে বীজ উৎপাদনের জন্য লাল শাকের চাষ করেছে চাষিরা।

এবিষয়ে বীজ ব্যবসায়ি সাধুহাটি গ্রামের লাল্টু জানান, চলতি মৌসুমে বেড়াশুলা, রতনপুর, গ্যাড়ামারাসহ কয়েটি গ্রামে প্রায় ২’শ বিঘা জমিতে লাল শাকের বীজ উৎপাদন করছে চাষিরা। তিনি আরো জানান, বীজ বিক্রিতে কোন ঝামেলা নেই। উৎপাদনের পরই বীজের নমুনা বিভিন্ন কোম্পানির অফিসে প্রেরন করা হয়। তারা বীজে চারা গজানোর ক্ষমতা নির্ধারন করেন। বর্তমানে প্রতিমন বীজ ৪৬/৪৭’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এবিষয়ে গ্রামের মেম্বর গোলাম রসুল জানান, বেড়াশুলাসহ কয়েটি গ্রামে দীর্ঘ ৫-৬ বছর ধরে লাল শাকের বীজ উৎপাদন করে আসছে। তবে গত কয়েক বছর স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় বীজ উৎপাদনে কম খরচে বেশি লাভ হচ্ছে। তাই বীজ উৎপাদনের দিকে চাষিরা দিনদিন আগ্রহ বাড়ছে।

ঝিণাইদহ সদও উপজেলার ২নং মধুহাটি ইউনিয়নের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মেসবাহ অহমেদ জানান, অন্যান্য ফসলের তুলনায় সবজির বীজ উৎপাদনে পোকা মাকড়ের আক্রমন কম। আবার আক্রমন হলেও সহজে দমন করা যায়। ফলে বাড়তি খরচ বা ঝামেলা নেই।

এবিষয়ে ঝিনাইদহ সদও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. খান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, বীজ উৎপাদন চাষটা বর্তামানে আধুনিক। এখানে কম খরচে বেশি লাভ হচ্ছে। তাই চাষিরা সবজির বীজ উৎপাদনে ঝুকছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ