মধুপুরের ঐতিয্যবাহী ২ টাকার সিংগাড়া

প্রকাশিত: ৯:৪৭ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০১৮

মধুপুরের ঐতিয্যবাহী ২ টাকার সিংগাড়া

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহ মধুপুর বাজারে ঐতিয্যবাহী ২ (দুই) টাকা পিচ সিংগাড়ার দোকানটি ১৯৭৩ সালে শুরু করেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চাপড়ি গ্রামের অনিল কুন্ডু।
অতি সাধারণ মানুষ ছিল অনিলকুন্ডু, সংসারের অভাব অনটোনের মধ্যে দিয়ে খুব কষ্টকরে বাজারের এক পাশে তৈরি করেছিলেন ছোট্ট একটি টোং দোকান। সেখান থেকেই শুরু তার ব্যবসা।

অনিল কুন্ডুর হাতের যাদুতে অতি অল্প সময়েই তার তৈরী সিংগাড়ার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে জেলা ব্যাপি। সিংগাড়া বিক্রি করে ভালভাবেই চলে যেতো তাদের সংসার। সিংগাড়া তৈরির কাজে বাবাকে সাহায্য করতেন ছেলে অশোক কুন্ডু । পরিবার নিয়ে বেশ ভালই কাটছিল তাদের জীবন। কিন্তু হটাৎ বাবা একদিন না ফেরার দেশে চলে গেলেন। আজ বাবা নেই কিন্তু বাবার সেই প্রিয় দোকানটি আজ সবার প্রিয়।

ছেলে অশোক কুন্ডু (৫০) বলেন, বাবা মারা যাবার পর বাবার প্রিয় ব্যবসাটি আজও আকড়ে ধরে রেখেছি আমি । তিনি আরো বলেন বাবার শেখানো কাজে আজ আমার ভাগ্য ফিরেছে। সকলের ভালোবাসায় আজ আমি এতদূর। বাবাকে আজ মনে পড়ে খুব। বর্তমানে স্ত্রী দুই ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে শুখেই আছেন তিনি। এ ব্যবসা করে বড় ছেলে ও মেয়েদের ভাল ঘরেই বিয়ে দিয়েছেন তিনি।

বড়ছেলে জানান, বাবার বয়াস বেড়েছে সেজন্য বাবাকে ব্যবসার কাজে সাহাজ্য করছি। এ ব্যবসা করে ছোট ভাইকে পড়ালেখা করাচ্ছি। ছোট ভাই এখন ঝিনাইদহ কাঞ্চননগর স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীতে পড়ছে। অশোক কুন্ডুর স্ত্রী বাসনা বলেন, বৌমা ও আমি বাড়ীতে সিংগাড়া তৈরি করি। এ সিংগাড়া তৈরি করতে বেশ ভালই লাগে আমাদের। প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে মধুপুর বাজারে আসে হাজারো মানুষ।

২ (দুই) টাকা দামের মজাদার সিংগাড়া ক্ষেতে কালিঞ্জে থেকে সিংগাড়া খেতে আসা সজীব হোসেন জানায়, আমি অনেকদিন ধরে আসছি। ভালো লাগে তার সিংগাড়া। এ টোং দোকানের ২টাকার সিংগাড়া হার মানিয়ে দেয় অন্য নামি দামি হোটেল ও রেস্টুরেন্ট গুলোর সিংগাড়া।

স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, বাবার মত অশোক কুন্ডুও সকলের প্রিয় হয়ে উঠেছেন তার এ সুস্বাদু সিংগাড়ার জন্য।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ