ঝিনাইদহ ও যশোর এলাকার হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাত

প্রকাশিত: ১১:৫১ অপরাহ্ণ, মার্চ ৮, ২০১৮

ঝিনাইদহ ও যশোর এলাকার হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাত

মালয়েশিয়ায় স্বর্ণ কিনলে ১০ মাস পরই সেই স্বর্ণে মিলবে দ্বিগুণ অর্থ! অনলাইনে এমন অভিনব প্রতারণার মাধ্যমে ঢাকা, ঝিনাইদহ ও যশোর এলাকার প্রায় এক হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে ৪৪ কোটি ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯৫১ টাকা আত্মসাত করেছে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং কোম্পানি ইউনিপেটুইউ’র দুই কর্মকর্তা এবং দুই এজেন্ট। ভুক্তভোগীদের শাহবাগ থানায় দায়ের করা একটি মামলায় (মামলা নম্বর-১৬) গত বুধবার ইউনিপেটুইউ’র ওই ৪ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তারা হলেন- ইকবাল আলী, দেওয়ান মো. মঞ্জুর কবীর, এ এস এম জিয়াউল হক ও মিলন হাসান।

ইউনিপেটুইউ’র অস্বাভাবিক লেনদেনের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রাথমিক অনুসন্ধানে ইউনিপেটুইউ’র ওই ৪ জনের বিরুদ্ধে এসব টাকা আত্মসাতের সত্যতা পেয়েছে সিআইডি। আজ  বৃহস্পতিবার দুপুরে সিআইডির সদরদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) মোল্যা নজরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল বলেন, ‘গ্রেপ্তার চার জন গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বলতো, সেই টাকা দিয়ে (সমপরিমান মূল্যের) স্বর্ণ কেনা হচ্ছে মালয়েশিয়ায়। ১০ মাস পর এই স্বর্ণ বিক্রী করলে দ্বিগুণ টাকা জমা হবে; এভাবে তারা ঢাকা, ঝিনাইদহ ও যশোর এলাকার প্রায় এক হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে ৪৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে ‘ তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের ব্যাংক হিসাবে (অ্যাকউন্ট) প্রায় ৪৪ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছি। এর মধ্যে ইকবালের অ্যাকাউন্টে ৮৮ লাখ এবং প্রেস্টিজ নামের আরেক অ্যাকাউন্টে ২২ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। তারা সেসব অর্থ ইউনিপেটুইউ’র প্রধান কার্যালয়ে জমা দিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে। বাকি টাকা কোথায় কীভাবে সরানো হয়েছে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই প্রতারণায় জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ মোল্যা নজরুল ইসলাম আরও  বলেন, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী আমরা জানতে পেরেছি ইউনিপেটুইউ’র মালিক বিদেশে পলাতক রয়েছেন। এর আগেও গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার বিষয়টি দুদক তদন্ত করছিল। আমরা গত ফেব্রুয়ারিতে পাওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করি।’ অন্যান্য এমএলএম কোম্পানির বিষয়েও সিআইডি তদন্ত করবে কিনা জানতে চাইলে মোল্যা নজরুল জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেই এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অর্থ লেনদেন অবৈধ। কোনও অবৈধ কোম্পানির সঙ্গে লেনদেনের অভিযোগ পেলে সিআইডি তদন্ত করবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ