হলিধানী, নগরবাথান ও ডাকবাংলায় ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে কোচিং সেন্টার

প্রকাশিত: ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২২, ২০১৭

হলিধানী, নগরবাথান ও ডাকবাংলায় ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে কোচিং সেন্টার

আব্দুল্লাহ আল মামুন,ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের হলিধানী, নগরবাথান ও ডাকবাংলায় ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে কোচিং সেন্টার। সদর উপজেলার হলিধানী কৃষিব্যাংকের পাশে শর্টটেকনিক, হাজি মার্কেট মিশন এ প্লাস, আপনজন কসমেটিকস এর পিছনে ফারুক স্যারের একাডেমীক কোচিং সেন্টার, সৃজনী বাংলাদেশের পাশে বর্ণমালা কোচিং সেন্টার, কাতলামারী শর্টটেকনিক, নগরবাথান, ধুপাবিলা, ডাকবাংলা বাজার সহ বিভিন্ন জায়গায় এসব কোচিং বাণিজ্য চলছে হরহামেশায়।


হলিধানী, নগরবাথান ও ডাকবাংলার বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা জানান, শিক্ষা মন্ত্রালয় কোচিং বানিজ্যে বন্ধের জন্য বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নিকট নোটিশ দিয়েছে। এই নোটিশ অমান্য করেই চলছে কোচিং বাণিজ্য। তারা নিজেরাও হিমশিম খাচ্ছে এই কোচিং বাণিজ্য নিয়ে। এসব কোচিং পরিচালকরা, শিক্ষকেরা ও কোচিংয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকগন নানা কৌশল করে এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যতিক্রম অনুভুতি সৃষ্টি করেই কোচিং মুখি হতে বাধ্য করছেন।

হলিধানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আজিজুল হক জানান, আগে আমাদের ছেলে-মেয়েরা নিয়মিত স্কুলে যেত। কিন্তু বর্তমানে লক্ষ্য করছি তারা স্কুলের পড়া না করে কোচিং এর পড়া তৈরীতে ব্যস্ত থাকে। আর বর্তমান কোচিং সেন্টার গুলো পড়া লেখার পরিবর্তে বাণিজ্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তিনি আরো জানান এসব কোচিং সেন্টারে দক্ষতাসম্পুর্ন শিক্ষক থাকে না। এতে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বিপাদে আছি। অচিরেই এইসব কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ করা উচিৎ।
এবিষয়ে রামচন্দ্রপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, আনেক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক আছে যাদের এখনো বেতন হয় নাই। এমন কিছু শিক্ষক আছে যাদের জীবিকার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের সভাপতির অনুমোতিতে কিছু প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কোন শিক্ষককে কোচিং বাণিজ্য করার অনুমোতি দেওয়া হয়নি। প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু শিক্ষক আছে যাদের অনিয়ম এবং আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার কারনেই তারা শিক্ষা মন্ত্রালয়ের নোটিশ অমান্য করেই এই কোচিং ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এর সাথে এলাকার বিভিন্ন কলেজের ছাত্ররা যারা গ্রাম থেকে শিক্ষার্থীদের অভিবাভকদের ফুসমন্তর দিয়ে এই সব কোচিংয়ে ভর্তি করছে। এভাবে চলতে থাকলে শিক্ষার মান নষ্ট তো হবেই, সেই সাথে শিক্ষার্থীদের মেধাবিকাশে বিগ্ন ঘটবে।

এ ব্যাপারে ৪নং হলিধানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ মিয়া বলেন, সরকার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু কিছু শিক্ষক শিক্ষার নামে কোচিং বাণিজ্য করছে। এসব কোচিং সেন্টার বন্ধ হওয়া উচিত। জেলা প্রশাসক অচিরেই এই কোচিং সেন্টার গুলো বন্ধ করবে এটাই আমাদের আহ্বান।

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ