বিপাকে ঝিনাইদহ, মাগুরা ও যশোরের আইনের শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ১০:১৫ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০১৮

এলএলবি প্রথম বর্ষের পরীক্ষার কেন্দ্র যশোর থেকে খুলনায় স্থানান্তর হওয়ায় বিপাকে ঝিনাইদহ, মাগুরা ও যশোরের আইনের শিক্ষার্থীরা। কেন্দ্র স্থানান্তর হওয়ায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়েও চিন্তিত অনেকে। পরীক্ষার আর মাত্র ১১ দিন বাকি থাকতে কেন্দ্রের এই স্থানান্তর পুনঃবিবেচনার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর আবেদন জানিয়েছেন তিন কলেজের শিক্ষার্থীরা।

যশোর শহীদ মশিউর রহমান আইন মহাবিদ্যালয়সহ মাগুরা ও ঝিনেইদহ আইন মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, ‘এ যাবৎকাল যশোর, ঝিনাইদহ ও মাগুরার আইন কলেজের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার যশোরের বিভিন্ন কলেজে অনুষ্ঠিত হতো। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ছিলো সরকারি এমএম কলেজ, বিএড কলেজ ও সরকারি সিটি কলেজ। কিন্তু এ বছর হঠাৎ করে পরীক্ষার কেন্দ্র খুলনাতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ফলে তাদেরকে বিপাকে পড়তে হবে।’

তিন কলেজের পক্ষে আইনের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম হোসেন ও সুজন বিশ্বাস জানান, ‘এলএলবি পরীক্ষা শেষ হতে প্রায় এক মাস লেগে যায়। ফলে প্রতিদিন খুলনাতে যাতায়াত কষ্টকর। আবার আবাসিক থেকে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ব্যয়বহুল। বিশেষ করে মহিলা শিক্ষার্থীদের যাতায়াত কিংবা আবাসিক থাকায় নিরাপত্তাজনিত প্রশ্নও রয়েছে।’ তারা আরও বলেন, ‘পরীক্ষা সকাল ৯টা থেকে ১ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। যশোর থেকে খুলনায় যেতে কমপক্ষে ২ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন। রাস্তার অবস্থাও ভালো না। ফলে খুব সকালে পরীক্ষার জন্য রওয়ানা দিতে হবে। তাছাড়া বাসে চলাচলে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেজন্য বাসে করে খুলনায় গিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এলএলবি’র ফলাফলের উপর প্রভাব ফেলবে।’

শিক্ষার্থীরা মাহবুব উর রহমান বলেন, ‘আগামী ২ ফেব্রুয়ারি এলএলবি প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষা শুরু অর্ধমাস আগে ১৬ জানুয়ারি হঠাৎ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে কেন্দ্র স্থানান্তরের বিষয়টি জানতে পেরেছি। পরীক্ষার কেন্দ্র স্থানান্তরের বিষয়টি পুনঃবিবেচনার জন্য কেন্দ্রীয় পরীক্ষা কমিটির সাথে কথা বলার চেষ্টা করি। কিন্তু নানান জটিলতায় যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। পরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি আবেদনপত্র ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে ২৩ জানুয়ারি প্রেসক্লাব যশোরের সামনে আমরা মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করবো।’

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ