সরকারি বালক-বালিকা বিদ্যালয়ের পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির বেড়াজালে ভাঁসছে

প্রকাশিত: ৯:৩৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭

সরকারি বালক-বালিকা বিদ্যালয়ের পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির বেড়াজালে ভাঁসছে

অভিভাবকদের দাবি ৩য় ও ৬ষ্ট শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষা ২০১৮ এর সুষ্ঠ পরীক্ষা ও ছিট প্লান পরিবর্তন চাই

খাইরুল ইসলাম নিরব

আগামী ২১ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ সরকারি বালক-বালিকা বিদ্যালয়ের ৩য় ও ৬ষ্ট শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সরকারি শিক্ষক ও বিভিন্ন কোচিং সেন্টার দুর্নীতির বেড়াজালে ভাঁসছে। ঝিনাইদহ সরকারি বালক-বালিকা বিদ্যালয়ের ৩য় ও ৬ষ্ট শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষা ২০১৮ কে সামনে রেখে কোমল মতি শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা- সমালোচনার ঝড় বয়ে চলেছে । কিছু সংখ্যক শিক্ষক ও কোচিং সেন্টারে রমরমা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। অভিভাবকদের মধ্যে বিরাজ করছে বিভিন্ন আলোচনা- সমালোচনার। গত ৩০ নভেম্বর রাত ১২টায় প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে অনলাইনে ভর্তির আবেদন ফর্ম ছাড়া হয়।

এ সময় কিছু কোচিং সেন্টারের শিক্ষক তাদের কোচিংয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ছিট প্লান পাশাপাশি করা, একই রুমে ছিট প্লান হবে এমন স্বপ্নের টার্গেট নিয়ে কাজ করতে সক্ষম হতে না পারায় অভিভাবকদের মধ্যে আলোচনা- সমালোচনা দেখা দিয়েছে। সরোজমিনে ঘুরে দেখা গেছে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীদের সিরিয়ালে রোল নং মিলেছে।

বিভিন্ন প্রি-ক্যাডেট একাডেমী ও কোচিং সেন্টারের শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় গভীর রাতে অনলাইনের ভর্তি ফরম পুরণ করে সিট প্লান সিরিয়ালে করতে গিয়ে নানা কথার সম্মুখীন দেখা দিয়েছে বলে অভিভাবকদের দাবি। এমনকি বাক-বিতন্ডের শিকার হতে দেখা গিয়েছে। এমনই এক অভিভাবকের কাছ থেকে জানা গেছে, কোচিং সেন্টার ও সরকারি বালক-বালিকা বিদ্যালয়ের কিছু সংখ্যক শিক্ষকের কারসাজিতে ভর্তি পরীক্ষার মেধার বদলে দুর্নীতির জাল পেতে বড় টাকার স্বপ্ন নিয়ে আশায় আছেন।

এছাড়াও সরকারি বালক-বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রাইভেট বানিজ্য রমরমা চালিয়ে যাচ্ছে। ২য় শ্রেণীতে পড়া শিক্ষার্থীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। মেধা প্রতিযোগীতার ফাঁদে পড়ে কিছু সরকারি শিক্ষকদের প্রাইভেট বানিজ্যের মুখে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। যার ফলে মধ্যবিত্ত পরিবারের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে একদিকে অর্থনৈতিক ক্ষতি অন্যদিকে কৌশলের শিকার হতে হচ্ছে।

এজন্য কয়েকটি কোচিং সেন্টার ও সরকারি বালক-বালিকা স্কুলের শিক্ষকদের হাতে কোমলমতি শিশুরা এখন জিম্মি। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে জানা গেছে গণিত, বাংলা, ইংরেজি এই ৩ সাবজেক্টে সপ্তাহে ৩দিন পড়ানো বাবদ ১হাজার থেকে ৩হাজার টাকা করে মাসিক হাতিয়ে নিচ্ছে।
অভিভাবকদের দাবি, আমাদের সন্তান ‘‘কোটা নয় মেধায় ভর্তি হতে চাই’’
পরীক্ষার শুরু থেকে খাতায় কোড নং ফেলা, রেজাল্ট শীট তৈরীর কার্যক্রম, সর্বপরি পরীক্ষার সকল কার্যক্রমে জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অভিভাবক মহল।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের সহকারি শিক্ষকদের মধ্যে বাসায় প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়ে আমার জানা নাই। এখানে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া হয়। সিট প্লানের ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন ভর্তি সংক্রান্ত ব্যাপারে প্রশাসনিকভাবে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

 

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ এস এম আসগর আলী বলেন, কোন শিক্ষক বা শিক্ষিকা যদি প্রাইভেট পড়িয়ে থাকে এমন কোন অভিযোগ দিলে তার ভর্তি পরিক্ষার ডিউটিতে কোন সুযোগ নেই।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ