ইউজিসি-ইবি’র যৌথ সভা বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নে ইউজিসি এবং বর্তমান সরকার একযোগে কাজ করছে — উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী

প্রকাশিত: ১২:১১ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০১৭

ইউজিসি-ইবি’র যৌথ সভা বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নে ইউজিসি এবং বর্তমান সরকার একযোগে কাজ করছে — উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী

 

এ এইচ মন্টি , ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসাবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য ইউনেস্কো এবং সেইসঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এবং বর্তমান সরকার একযোগে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রশাসনের নেতৃত্বে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হওয়ার অগ্রযাত্রায় শামিল হয়েছে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পাদিত ২০১৬-’১৭ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূল্যায়ন এবং ২০১৭-’১৮ অর্থবছরের চুক্তি এবং বরাদ্দকৃত গবেষণা মঞ্জুরী সংক্রান্ত এক যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের কর্মসম্পাদন চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় ২০১৭-২০১৮ বছরের চুক্তি নবায়ন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের ৩য় তলার সভা-কক্ষে আজ (১৫ নভেম্বর) বেলা ২টা ৩০মিনিটে শুরু হওয়া এ সভায় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান বলেন, বিগত বছরের চুক্তি অনুযায়ী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্য মূল্যায়ন ও নতুন বছরের চুক্তি হচ্ছে। নি¤œ থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত পরিচালিত শুদ্ধাচার অভিযানে দায়িত্ববোধের সাক্ষর রাখতে ও কর্মপদ্ধতির মনোন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম তোহা বলেন, কার্যসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আন্তরিক। বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে চলমান বিপুল কর্মযজ্ঞে সকলকে তাঁদের কার্যদক্ষতা প্রয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

সভার মুখ্য আলোচক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, ২০১২ সালে সর্বপ্রথম বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি হয় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তিনি বলেন, বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে Ñ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সমস্যাসমূহ তুলে ধরে তার সমাধানও করতে হবে। তিনি বার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি সিটিজেন চার্টার, তথ্য অধিকার আইনের মতো বিষয়গুলি তুলে ধরে বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন হতে আগত প্রতিনিধিদলের অপর দুইজন সদস্য সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন) ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সংক্রান্ত কমিটি’র সদস্য-সচিব মোরশেদ আলম খন্দকার এবং কমিটির ফোকাল পয়েন্ট ও উপ-সহকারী পরিচালক (বাজেট) মোঃ নজরুল ইসলাম ২০১৬-’১৭ অর্থবছরের কর্মসম্পাদন চুক্তির বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরে সেই আলোকে ২০১৭-’১৮ এবং ২০১৮-’১৯ অর্থবছরের পরিকল্পনা গ্রহণের ব্যাপারে প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তাঁদের দিক-নির্দেশনা তুলে ধরেন।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস.এম আব্দুল লতিফ, ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতিবৃন্দ ও অফিস প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে প্রশ্নোত্তর-পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সভা উপস্থাপনায় ছিলেন চুক্তি সংক্রান্ত কমিটি’র ফোকাল পয়েন্ট ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) মোঃ নওয়াব আলী খান।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ