ঢাকা ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০১৭
দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নের্তৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল এই তদন্ত শেষে বুধবার কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করে। দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য সংবাদ প্রতিদিন বিডি ডটকমকে বলেন, “সরকারি নীতিমালা মোতাবেক শিক্ষকদের এক কর্মস্থলে তিন বছরের অধিক সময় অতিবাহিত হলেই তাদেরকে অন্যত্র বদলি করার নির্দেশনা রয়েছে।”
যেসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলির সুপারিশ করা হয়েছে-
গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের ৩২ জন, মোহম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৬ জন, ধানমন্ডি গভর্নমেন্ট বয়েজ হাই স্কুলের ১৭ জন, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৪ জন, শেরেবাংলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৭ জন, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ সংযুক্ত হাই স্কুলের ২৫ জন, খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩১ জন, তেজগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২১ জন, গণভবন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৪ জন, মিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯ জন, নবাবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯ জন, নারিন্দা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩১ জন, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের ২৯ জন, আরমানিটোলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ২১ জন, ঢাকা গভর্নমেন্ট মুসলিম হাই স্কুলের ৯ জন, ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ জন, মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩২ জন, বাংলাবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২২ জন, টিকাটুলী কামরুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩০ জন, তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৮ জন, শেরেবাংলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৪ জন, ধানমন্ডি কামরুন্নেছা সরকারি বিদ্যালয়ের ৭ জন, ধানমন্ডি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ জন ও নিউ গভর্নমেন্ট গার্লস হাই স্কুলের ৭ জন।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এক কর্মস্থলে বছরের পর বছর থাকার ফলে ওই শিক্ষকরা প্রাইভেট পড়ানোর নামে কোচিং সেন্টার গড়ে তুলেছেন এবং শিক্ষার্থীদের সেখানে পড়তে বাধ্য করা হয়। দশ বছরের বেশি কোনো শিক্ষক এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকলে তাকে বিভাগের বাইরের বিদ্যালয়গুলোতে বদলির সুপারিশ করা হয়েছে দুদকের প্রতিবেদনে।
এছাড়া পাঁচ বছরে বেশি সময় কর্মরত শিক্ষকদের ঢাকা নগরীর বাইরে এবং তিন বছরের বেশি সময় এক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে অন্য বিদ্যালয়ে বদলির সুপারিশ করেছে দুদক। এছাড়া সাত জেলা শিক্ষা অফিসারকে জেলায় দায়িত্ব না দিয়ে ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম ও বরিশালের সাত বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উঠে আসে।
এসব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বদলি নিশ্চিত করার সুপারিশ করে প্রতিবেদনে ভবিষ্যতে ওই শিক্ষা কর্মকর্তাদের শিক্ষক হিসেবে পদায়ন না করতে বলা হয়েছে। এই সাত শিক্ষা কর্মকর্তা হলেন, তেজগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহরীন খান রূপা, খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মেহেরুন নেছা, মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নুরুন নাহার, ধানমণ্ডি কামরুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নাসরিন আক্তার, গাজীপুরের কালিগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের লুবনা আক্তার, চট্টগ্রামের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শাহিদা আক্তার ও বরিশালের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহবুবা খানম।
Design and developed by zahidit.com