ঢাকা ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:০২ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৭
ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইতিহাসে দীর্ঘ দেড় যুগ পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪র্থ সমাবর্তন।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে এ কথা বলেন ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এটাই হবে সর্ববৃহৎ সামবর্তন অনুষ্ঠান।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৩৮ বছরে অনুষ্ঠিত হয়েছে মাত্র ৩ টি সমাবর্তন। সর্বশেষ ২০০২ সালে অনুষ্ঠিত হয়। দেড় যুগ পেড়িয়ে গেলেও কোন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন করতে পারে নি।
অবশেষে গত বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর মহামান্য রাষ্টপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মোঃ আবদুল হামিদের সাথে বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রো-ভিসি, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারের একান্ত সাক্ষাতে এই সমাবর্তনের সম্ভব্য তারিখ ও অনুমতি পাশ হয়।
২০০২ সালের সালের সমাবর্তনে ১৯৯৫-৯৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক এবং ১৯৯৬-৯৭ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর পর্যন্ত ডিগ্রিপ্রাপ্তদের মূল সনদ পত্র প্রদান করা হয়।
এবারের সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২২ বিভাগের ১৯৯৬-৯৭ শিক্ষাবর্ষ (অনার্স) ও ১৯৯৭-৯৮ শিক্ষাবর্ষ (মাস্টার্স) থেকে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষ (অনার্স) ও ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ (মাস্টার্স) পর্যন্ত ৩৮ হাজার ৪ শত ৯০ জন শিক্ষার্থীকে আনুষ্ঠানিকভাকে ডিগ্রি প্রদান করা হবে। এছাড়াও এই শিক্ষাবর্ষ হ্রাস বৃদ্ধি হতে পারে বলে রেজিস্ট্রার নিশ্চিত করেন।
মতবিনিময় কালে আরোও উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম তোহা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি ও প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ।
মত বিনিময় সভায় ভিসি ড. রাশিদ আসকারী বলেন, “দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর আমরা সমাবর্তনের সম্ভব্য তারিখ পেয়েছি। মহমান্য রাষ্ট্রপতি এই সমাবর্তনের অনুমতি দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যলয়ের ইতিহাসে এই সমাবর্তন হবে এক যুগান্তকারী ঘটনা। এই সমাবর্তন কে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কিছুই নতুন রুপে সুসজ্জিত করা হবে।
আগামী শনিবার থেকেই সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে। এসময় তিনি সমাবর্তন বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সকলের সহায়তা কামনা করেছেন।”
Design and developed by zahidit.com