ঢাকা ২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:৫১ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২০
এম.সাইফুজ্জামান তাজু
হরিণাকুণ্ডু-
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে। “মুজিববর্ষ” উপলক্ষে পরিচ্ছন্ন গ্রাম-পরিচ্ছন্ন শহর কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়। উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে উপজেলার হাট বাজার ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণস্থানে একযোগে শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম।
সোমবার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন ও ইউ.এন.ও সৈয়দা নাফিস সুলতানা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এসিল্যান্ড অনিমেষ বিশ্বাস, পৌর মেয়র শাহিনূর রহমান রিন্টু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর খাইরুল ইসলাম, ফারুক হোসেন,শুভংকর বিশ্বাস প্রমুখ।
এদিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে সনাক্ত হওয়ার পর দেশের মানুষের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্কের। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথমবারের মত ৩ নাগরিকের দেহে প্রাণঘাতী করোনা (কোভিড-১৯) ভাইরাস সনাক্ত হওয়ার পরই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মাঝেও।
ইতিমধ্যেই সরকার করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ব্যাপক জনসচেতনতার উদ্দোগ গ্রহন করেছে। সেলক্ষে দেশের সব জেলা উপজেলাতেও নেওয়া হচ্ছে জনসচেতনতার উদ্যোগ। ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতেও প্রাণঘাতী এ ভাইরাস মোকাবিলায় নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত উপজেলা কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোলা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সরকারী বাসভবনকে কোয়ারেন্টাইন ঘোষনা করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ সবধরনের জনসমাগম। প্রয়োজন ছাড়া গণপরিবহন এড়িয়ে চলারও পরামর্শ দেওয়া হবে সাধারন মানুষকে।
এলক্ষে উপজেলার সব ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে প্রতিটি হাট বাজার ও গুরুত্বপূর্ন এলাকায় বিলবোর্ড স্থাপন ও লিফলেট বিতরনের মাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারের ব্যবস্থাও গ্রহন করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকের পক্ষ থেকেও গ্রামে গ্রামে সচেতনতামূলক প্রচারনা চালানো হবে বলে জানাগেছে।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. মোঃ জামিনুর রশিদ বলেন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকর্মিদের মাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারনা চালানো হবে। বিশেষ করে বিদেশ ফেরত নাগরিকদের চিহ্নিত করে তাদের যদি জ্বর বা ঠান্ডা কাশি থাকে তাহলে তাদের কফ ও লালা পরিক্ষা করে যদি করোনা ভাইরাসের কোন সংক্রামক লক্ষ্য করা যায় তাহলে দ্রুত তাদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা বলেন, ইতিমধ্যেই প্রাণঘাতী এ ভাইরাস মোকাবিলায় উপজেলা কমিটির সভা করা হয়েছে। আইসোলেশন ওয়ার্ড ও কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের অবৈধ মজুদদার ও বেশি দামে বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যামাণ আদালতও পরিচালনা করা হবে। তিনি প্রাণঘাতী এ ভাইরাস মোকাবিলায় মিডিয়াকর্মী, জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলা পরিষদ প্রয়োজনীয় সচেতনতামূলক ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে হাটবাজারে বিলবোর্ড স্থাপন ও লিফলেট বিতরনের মাধ্যমে সাধারন মানুষকে সচেতন করা হবে। তিনি জনসাধারনকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহবান জানান।
Design and developed by zahidit.com