ঢাকা ২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:৩৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
এম সাইফুজ্জামান তাজু
হরিণাকুণ্ডু-
আবহমান ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে পিঠা-পুলির গল্প। আর শীত এলেই শহর, নগর ও গ্রাম বাংলায় নানান অনুষ্ঠানে শুরু হয় পিঠা খাওয়ার ধুম। এসব অনুষ্ঠানে হরেক রকম পিঠা-পুলির সমাহার নিয়ে হাজির হন আয়োজকরা।
এমনই উৎসব আমেজে ঝিনাইদহের হরিনাকুণ্ডু উপজেলার সরকারী লালনশাহ কলেজে আয়োজন করা হয়েছিলো পিঠা উৎসব। ওই প্রতিষ্ঠানের তিন দিনব্যাপী বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শেষ দিনে মঙ্গলবার আয়োজন করা হয় এ পিঠা উৎসবের।
ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, সেমাই পিঠাসহ বাহারী সুস্বাদু নানা রকম পিঠা-পুলির সমহার নিয়ে কলেজ প্রাঙ্গনে হাজির হয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।
পিঠা পার্বণ, নকশী পাকান, রসের হাড়ি, পিঠার সাতকাহন, পৌষালী পার্বণ, রস মঞ্জুরী, দুধ চিতই, ঢেকির বৈঠকখানা ও লবঙ্গ লতিকাসহ বাহারী সব নামের স্টলে রয়েছে রকমারী এসব পিঠার সমাহার।
দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নকশী পাকান স্টলে গিয়ে দেখা যায় সেখানে আলু ডোবা, পুটিং, পুরের পাটিসাপটা, মহনভোগ, কাঁঠালপাতা, শাহিভাপা, বিবিখানা, ডিম সুন্দরী, জামাই পিঠা, লবঙ্গ লতিকা, গোলাপ পিঠা, লাভ পিঠাসহ ৭১ রকমের বাহারীসব পিঠা-পুলির সমহার। নান্দনিক ওই স্টলের সমন্বয়ক সাদিয়া তাসলিম স্মৃতি বলেন, রাত জেগে মায়ের সহযোগিতা নিয়ে এসব পিঠা তৈরি করেছি। এ উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে সেতুবন্ধন সৃষ্টি হবে।
সকালে বিভিন্ন স্টল ঘুরে ওই পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা। তিনি বলেন, পিঠা খাওয়া গ্রাম বাংলার চিরায়িত ঐতিহ্য, তাছাড়া এ উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের লোকজ সংস্কৃতির সাথে গড়ে ওঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়। এসময় কলেজের অধ্যক্ষ আতিয়ার রহমান, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আওয়াল হোসেন, সহযোগি অধ্যাপক মাসুদ ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
Design and developed by zahidit.com