ঝিনাইদহে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে দূর্গা পূজার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

প্রকাশিত: ১১:২২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০১৮

ঝিনাইদহে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে দূর্গা পূজার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

ঝিনাইদহ সংবাদ ডেস্ক :

ঝিনাইদহে প্রদীপ প্রজ্জলন ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় হামদহ কালীমন্দিরে উৎসবের উদ্বোধন করেন ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান।


আর আগে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু কনক কান্তি দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।


এসময় পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান, ধর্ম মন্ত্রনালয়ের হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি শ্রী অনিল কুমার সরকার, মেহেরপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন, নড়াইল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, মাগুরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুন্ডু, ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ সচীব রেজাই রাফিন সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) বাকাহীদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আসাদুজ্জামান সহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।


আলোচনা সভায় পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান বলেন, প্রতিটি মানুষ নিরাপত্তার সাথে তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করবে। আর এ ক্ষেত্রে সার্বিক নিরাপত্তা দেবে পুলিশ। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। তাই প্রতিটি মন্দিরে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারপরও কারো কোন বিষয়ে সন্দে হলে তাৎখনিক পুলিশকে জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।


ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু কনক কান্তি দাস বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আজ এই মন্দিরে দুর্গোৎসবে সকল ধর্মের মানুষের উপস্থিত ঠিক তাই প্রমাণ করে। এ দেশ সকল ধর্মের মানুষের মেলবন্ধনে গড়ে ওঠা সোনার বাংলাদেশ।


পরে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ১৬ টি মন্দিরের সংষ্কার ও অন্যান্য খরচ বাবদ ৪৭০০ করে চেক হস্তান্তর করা হয়। এছাড়াও ৬ জন অসহায় ব্যক্তিকে দেওয়া হয় অর্থিক সহায়তা।

অন্যদিকে একই সাথে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু কনক কান্তি দাসের পক্ষ থেকে ৪ শতাধীয়ক দুস্থ মহিলার মাঝে বিতরণ করা হয় শাড়ী।