ঢাকা ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:০৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৪, ২০১৮
পবিত্র লাইলাতুল মিরাজ আজ। যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে আজ ২৬শে রজব, শনিবার দিবাগত রাতে সারা দেশে পবিত্র লাইলাতুল মিরাজ পালিত হবে। এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাদ মাগরিব জাতীয় মসজিদে এক ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে।
পবিত্র এই রাতে মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা:) মিরাজ গমন করে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের সান্নিধ্য লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসেন। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা হিজরি সনের রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে লাইলাতুল মিরাজ পালন করেন। ইসলামে এই রাতকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছে।
মিরাজের রাত ইবাদত-বন্দেগি ও দোয়া কবুলের রাত হিসেবে গণ্য করা হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত ও জিকির-আজকারের মধ্য দিয়ে রাতটি পার করে থাকেন। অনেকে পবিত্র মিরাজে নফল রোজা রাখেন। দান-সদকাও করেন।
ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত সফরকে ‘ইসরা’ এবং মসজিদুল আকসা থেকে সাত আসমান পেরিয়ে আরশে আজিম সফরকে ‘মিরাজ’ বলা হয়। ইতিহাসের নিরিখে নবুওয়াতের দশম বছর ৬২০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ রজব দিবাগত রাতে মহানবী (সা:) আল্লাহ্র সান্নিধ্যে মিরাজ গমন করেন। পবিত্র কোরআনের সূরা বনি ঈসরাইল ও সূরা নজমের আয়াতে, তাফসিরে এবং সব হাদিস গ্রন্থে মিরাজের ঘটনার বর্ণনা রয়েছে।
পবিত্র এই রাতে হযরত জিবরাঈল (আ:)-এর সঙ্গে নবীজী প্রথমে বায়তুল্লাহ শরীফ থেকে বোরাকে চড়ে বায়তুল মুকাদ্দাস গমন করেন। সেখানে হযরত আদম (আ:) সহ অন্যান্য নবীদের নিয়ে মহানবী (সা:) দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করেন।
তারপর সেখান থেকে তিনি এই রাতেই সপ্তম আকাশ পেরিয়ে সিদরাতুল মুনতাহায় উপনীত হন। এরপর রফরফ নামক বাহনে চড়ে আল্লাহ্র প্রিয় হাবিব মহান প্রভুর অনুগ্রহে আরশে আজিমে পৌঁছেন। আল্লাহ্ তায়ালার দিদার লাভ ও সরাসরি কথোপকথন শেষে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করেন প্রিয়নবী হযরত মুহম্মদ (সা:)।
Design and developed by zahidit.com