ডাকাতের কবলে অ্যাম্বুলেন্স

প্রকাশিত: ৩:২৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮

ইবি প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. হারুন উর রশিদ আসকারীর ওপর হামলার ঘটনার রেশকাটতে না কাটতেই ডাকাতদের হামলার কবলে পড়েছে ক্যাম্পাসের অ্যাম্বুলেন্স। গতকাল সোমবার দিনগত রাত পৌনে ৫টার দিকে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বড়দহ নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অ্যাম্বুলেন্সের চালক আব্দুল খালেকের ভাষ্যমতে,‘গতকাল সোমবার রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের পলি খাতুন নামের শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়। রাতে ওই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাই। পরে দায়িত্বরত ডাঃ মিল্টন রোগীকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। পরে ওই শিক্ষার্থীর বন্ধু মাসুদ, মুসতাকিম, মাহমুদা, জান্নাতসহ ঝিনাইদহে নিয়ে যাই। পলির বাড়ি মাগুরা জেলা হওয়ায় তাকে ঝিনাইদহ শহর থেকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি শেষে রাত তিনটার দিকে আমরা ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্য রওনা হই। ভর্তি শেষে রাত তিনটার দিকে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানার বড়দাহ নামক স্থানে যানযট শুরু হয় (অনেক ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি)। পরে অ্যাম্বুলেন্স দাড় করি। কিছুক্ষণ পরে ৫/৬ জন কালোকাপড়ে মুখ বাধানো দুবৃত্ত আমাদের কাছে টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অসমর্থ হলে আমাকে বেধড়ক মারধর এবং অ্যাম্বুলেন্সের গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে। অস্ত্রের মুখে পলীর সহপাঠীদের কাছ থেকে মোবাইল, টাকা ও ব্যাগ এবং গহনা ছিনিয়ে নেয় তারা। ঘটনার কিছুক্ষণ পরে পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।’

শৈলকুপা থানার কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান,‘ঘটনার তদন্ত চলছে। আইনগত ব্যবস্থাও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে।’

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন,‘প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে সরকারের আশু পদক্ষেপ কামনা করছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, এ ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ