ঢাকা ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:১৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০১৮
স্টাফ রির্পোটারঃ-
ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয় থেকে সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেওয়া বেশ কিছু শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা প্রকাশিত ফলাফলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা এই ফল বিপর্যয়ের কারন অনুসন্ধানের দাবি করেছেন। তাদের অভিযোগ বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় পত্রের খাতা সঠিক মুল্যায়ন না হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ওই বিদ্যালয় থেকে গত প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ১২৭ টি শিশু অংশ গ্রহন করেন। এদের মধ্যে ৪৫ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবক এক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, সরকারি বালক বিদ্যালয়ে যারা পড়ালেখা করে তাদের বেশির ভাগই মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এবারের সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর দেখা যায় ১২৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৬৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। বাকিরা ব্যর্থ হয়েছে। যাদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতি পত্রে নাম্বার কম পেয়েছে। অথচ এই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কম নাম্বার পাওয়ার কথা নয়। তারা আশংকা করছেন এই বিষয়ের খাতা সঠিক মুল্যায়ন করা হয়নি। যে কারনে এই ফল বিপর্যয় ঘটেছে। তারা ওই বিষয়ের খাতা পুনরায় মুল্যায়নের দাবি করেছেন। এ জন্য তারা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
অভিভাবকদের দাবি গত বছর ১২০ জন শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১০৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল। সেখানে এবার অধেক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। তাছাড়া এবারও পাশ্ববর্তী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে এই বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ৯৯ পর্যন্ত নাম্বার পেয়েছে। বালক বিদ্যালয়ের বেশির ভাগই এই পরিমান নাম্বার পায়নি। তাদের ধারনা প্রতিষ্ঠানটির ভাবমুর্তি নষ্ট করতে একটি মহল চক্রান্ত করে এই ফল বিপর্যয় ঘটিয়েছে। সেটারও তদন্ত দাবি করেছেন অভিভাবকরা।
Design and developed by zahidit.com