ঢাকা ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:৩১ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফল আজ প্রকাশ করা হবে। এই চারটি পরীক্ষায় এ বছর সাড়ে ৫৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করবেন।
এর আগে শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যান এবং শিক্ষা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জেএসসি ও জেডিসির ফলের কপি প্রধানমন্ত্রীর হাতে হস্তান্তর করবেন। একই সঙ্গে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।
ফল প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের কয়েকটি স্কুলের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সও করতে পারেন। পরে দুপুর ২টায় সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এরপর নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে, দুপুর ১টায় সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফল তুলে ধরবেন। গণশিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর দুপুর ২টায় সব জেলা ও উপজেলায় নিজ নিজ পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে ফল প্রকাশ করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ ছাড়া প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফল শিক্ষা অধিপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd অথবা http://dperesult.teletalk.com.bd এ পাওয়া যাবে। যে কোনো মোবাইল ফোন থেকে এসএমএসের মাধ্যমেও তাৎক্ষণিক ফল জানা যাবে।
নভেম্বরের শুরুর দিন দেশব্যাপী ২ হাজার ৮৩৪টি পরীক্ষা কেন্দ্রে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট ২৮ হাজার ৬২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮২০ পরীক্ষার্থী এ দুটি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এ ছাড়া দেশের বাইরে সৌদি আরব, লিবিয়া, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), বাহরাইন ও ওমানের মোট ৯টি কেন্দ্রে ৬৫৯ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এবার থেকে জেএসসির পরীক্ষার্থীদের শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা এবং চারু ও কারুকলা বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি। তবে এ বিষয়গুলোর ওপর শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক মূল্যায়ন করে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের নম্বর পাঠিয়েছে সংশ্নিষ্ট কেন্দ্রে। এ ছাড়া নিয়মিত পরীক্ষার্থীরা বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) অংশে ৩০ নম্বর এবং সৃজনশীল অংশে ৭০ নম্বরের পরীক্ষা দিয়েছে। অনিয়মিত পরীক্ষার্থীরা বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) অংশে ৪০ নম্বর এবং সৃজনশীল অংশে ৬০ নম্বরের পরীক্ষা দেয়।
অন্যদিকে, ১৯ নভেম্বর থেকে ২৬ নভেম্বর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের ৭ হাজার ২৬৭টি এবং বিদেশের ১২টি কেন্দ্রে মোট ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৭৫ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এবার প্রাথমিকে ২ হাজার ৯৫৩ জন এবং ইবতেদায়িতে ৩৭৯ জন ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন’ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এই শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হয়।
Design and developed by zahidit.com