ইবির সমাবর্তনে উপেক্ষিত গ্র্যাজুয়েটরা

প্রকাশিত: ৯:২৬ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৭

ইবির সমাবর্তনে উপেক্ষিত গ্র্যাজুয়েটরা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আসন্ন সমাবর্তনে বিভিন্ন অনুষদে প্রথম স্থান অধিকারী স্নাতক পাস গ্র্যাজুয়েটরা স্বর্ণপদক থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথা অনুযায়ী শুধুমাত্র স্নাতকোত্তরে বিভিন্ন অনুষদে প্রথম স্থান অধিকারী ৭৩ জন পোস্ট গ্র্যাজুয়েটকে স্বর্ণপদক বা প্রেসিডেন্সিয়াল পদক প্রদান করা হবে।

প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে পদক বঞ্চিত গ্র্যাজুয়েটরা বুধবার বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস কর্নারে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তাদের দাবি- পদক সংক্রান্ত উপ-কমিটি কর্তৃক গৃহীত পদক প্রদান সংক্রান্ত নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করে স্নাতক পর্যায়ের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে মেধাবী শিক্ষর্থীদের পদক তালিকায় অন্তর্ভুক্তকরণ এবং অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে সম্ভাব্য পদকপ্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ কারা হোক।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে স্নাতকে প্রথম স্থান অধিকারী সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মিফতাহুল হাসান সান।

তিনি বলেন, ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গ্র্যাজুয়েটদের (স্নাতক ফ্যাকাল্টি ফার্স্ট) স্বর্ণপদক ও সনদ প্রদান করা হয়। পাশাপাশি কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েটদের সঙ্গে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটদেরও পদক ও সনদ দেয়া হয়। তবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিন্ন চিত্র। সমাবর্তনে গ্র্যাজুয়েটদের উপক্ষো করে শুধুমাত্র পোস্ট গ্র্যাজুয়েটদেরকেই প্রেসিডেন্সিয়াল পদক বা স্বর্ণ পদক ও সনদ দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনে প্রত্যেক অনুষদের স্নাতক পর্যায়ের একজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বর্ণপদক দেয়া হয়। তবে এই প্রথম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। যা মোটেও কাম্য নয়। এর ফলে মেধাবীরা নিরুৎসাহিত হরে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার একই দাবিতে পদক বঞ্চিত গ্র্যাজুয়েটরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী এবং উপ উপাচার্য অধ্যাপক শাহিনুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথা, সময় স্বল্পতা এবং ফান্ডের শোচনীয় অবস্থার দোহাই দিয়েছেন।

এ বিষয়ে সমাবর্তনে পদক প্রদান উপ-কমিটির আহ্বায়ক ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এ এইচ এম আক্তারুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেওয়াজ অনুযায়ী স্টিয়ারিং কমিটির সিদ্ধান্তে এবারও শুধু পোস্ট গ্র্যাজুয়েটদের পদক ও সনদ দেয়া হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, শুধু মাস্টার্সে ফ্যাকাল্টি ফার্স্ট হলে স্বর্ণপদক দেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথা। তবে আগে কেউ এমন দাবি করেনি। কিন্তু এবার তারা যখন দাবি করেছে তখন এ সংক্রান্ত কাজ শেষ দিকে তাই তাদের অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ