ঢাকা ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:০৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৯, ২০১৭
মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত। আল্লাহ তাআলা মানুষকে অনেক ভালবেসে এ পৃথিবীতে খেলাফতের দায়িত্ব দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। আর মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠ রাসুল হিসেবে প্রেরণ করেছেন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে। তিনি বিশ্বমানবতার মহান শিক্ষক।
মানুষের কল্যাণে আল্লাহর বিধান বাস্তবায়ন এবং প্রতিটি কাজের ব্যাপারে আদেশ, উপদেশ পেশ করেছেন। পরকালের সফলতায় বর্ণনা করেছেন অনেক নসিহত। এর রকম একটি নসিহত হলো- ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’-এর উপদেশ। যা নিয়মতি পাঠ করলে জান্নাতের ধানাগার অর্জিত হয়। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু মুসা আল আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি গিরিপথ দিয়ে অথবা (বর্ণনাকারী বলেন) একটি চুড়া হয়ে যাচ্ছিলেন। তখন এক ব্যক্তি এর উপর ওঠে জোরে জোরে বলল- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।’
হজরত আবু মুসা বলেন, তখন রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর খচ্চরে আরোহী ছিলেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমরা তো কোনো বধির কিংবা কোনো অনুপস্থিত কাউকে ডাকছো না। অতঃপর তিনি বললেন-
‘হে আবু মুসা! বা হে আবদুল্লাহ! আমি কি তোমাকে জান্নাতের ধনাগার লাভের একটি বাক্য বলে দেব না? আমি বললাম, ‘হ্যাঁ’, বলে দিন। তিনি বললেন, তা হলো-
‘লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ভরসা নেই; কোনো ক্ষমতা বা শক্তি নেই।’ (বুখারি)
হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী, ‘লা হাওলা ওয়া লা কুওয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ’-এর পাঠে জান্নাতে ধনাগার লাভ হয়। যাতে রয়েছে বান্দার যাবতীয় কল্যাণ।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাsহকে প্রিয়নবির শেখানো গুরুত্বপূর্ণ আমলটি যথাযথ করার তাওফিক দান করুন। ‘লা হাওলা…’ পাঠের ফজিলত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
Design and developed by zahidit.com